মৃত সানা মহম্মদ। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
লন্ডনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলার পেটে তির গেঁথে দিল আততায়ী। সন্তানসম্ভবা ওই মহিলারমৃত্যু হয়েছে। তবে বাঁচানো গিয়েছে তাঁর গর্ভস্থ শিশুটিকে। শিশুটিকে নিরাপদে বের করে আনেন চিকিৎসকরা। হামলাকারী ওই মহিলার পূর্বপরিচিত। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মৃত মহিলার নাম দেবী উন্মাথালেগাড্ডু। বয়স ৩৫ বছর।৭ বছর আগে ইমতিয়াজ মহম্মদকে বিয়ে করেছিলেন। দেবী পরে নাম পাল্টে সানা মহম্মদ হন। ২ ও ৫ বছর বয়সী দুই কন্যা সন্তান রয়েছে তাঁদের। তৃতীয়বার মা হতে যাচ্ছিলেন সানা। এ ছাড়াও আগের পক্ষের তিন সন্তান ছিল তাঁর। সকলে নিয়ে লন্ডনের ইলফোর্ডে থাকতেন।
সোমবার সকালে বাড়ির কাজে ব্যস্ত ছিলেন সানা। বাড়িতে ছিলেন ইমতিয়াজও। সামনের লনে তিনিই প্রথম আততায়ীকে লক্ষ্য করেন। সানার দিকে তির-ধনুক তাক করেছিল সে। চেঁচিয়ে স্ত্রীকে সতর্কও করেন ইমতিয়াজ। কিন্তু ততক্ষণে সানার শরীরে তির গেঁথে গিয়েছে। তলপেট ফুঁড়ে তির আটকে যায় হৃৎপিণ্ডে। তড়িঘড়ি স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। সেখানে বেলা ১১টা নাগাদ তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তবে অস্ত্রোপচার করে নিরাপদে শিশুটিকে বার করে নিতে সক্ষম হন তাঁরা।
হামলাকারী মহিলার পরিচিত। অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।
আরও পড়ুন: দাসো কর্তার দাবি নিয়ে চাপান-উতোরের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে শুরু রাফাল শুনানি
আরও পড়ুন: মেঝে দিয়ে নয়, এই বাড়িতে হাঁটতে হবে সিলিং দিয়ে!
সদ্যজাত পুত্রসন্তানের নাম ইব্রাহিম রেখেছেন ইমতিয়াজ। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘সানার মতো ভাল মানুষ হয় না। মা ও সন্তান হিসাবে যথেষ্ট দায়িত্বশীল ছিল। গত সাত বছর ধরে একসঙ্গে ছিলাম আমরা। কখনও আলাদা হইনি। বাকি জীবনটা কীভাবে কাটাব জানি না। সন্তান প্রসবে মাত্র চার সপ্তাহ বাকি ছিল। তার আগেই এই হামলা। তলপেট ফুঁড়ে হৃৎপিণ্ডে আটকে যায় তিরটি। তবে আমার সন্তানকে ছুঁতে পারেনি। তাও কোনওরকম রিস্ক নিতে চাননি চিকিৎসকরা। বুকে তির গাঁথা অবস্থাতেই স্ত্রীর পেট থেকে ছেলেকে বের করে আনেন।’’
হামলাকারীকে ৫০ বছর বয়সী রমণোদ্গে উন্মাথালেগাড্ডু বলে শণাক্ত করা গিয়েছে। সানার পরিচিত ছিল সে। একসময় দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে। তাকে গ্রেফতার করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের পুলিশ। মঙ্গলবার বার্কিংসাইড ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তোলা হলে তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy