ডিয়েজি টুও নামের সেই বিজ্ঞানী। ছবি: ফেসবুক।
পোষ্য কুমিরের আক্রমণে প্রাণ হারালেন ইন্দোনেশিয়ার এক মহিলা বিজ্ঞানী। ৪৪ বছরের ওই বিজ্ঞানীর নাম ডিয়েজি টুও। ইন্দোনেশিয়ার নর্থ সুলায়েসির মিনাহাসাতে একটি ল্যাবরেটরির প্রধান ছিলেন ডিয়েজি। যে কুমিরের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে সেটি ১৪ ফুট লম্বা, নাম মেরি।
গত বৃহস্পতিবার ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটে। পর দিন সকালে ডিয়েজির দেহ উদ্ধার করেন তাঁরই ল্যাবরেটরির সহকর্মীরা। স্থানীয় সংরক্ষণাগারের মালিক হেন্ড্রিক রুন্দেনগান জানিয়েছেন, তিনি কুমিরটির ঘেরাটোপের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। বিষয়টি এখন পুলিশ তদন্ত করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ডিয়েজির পোষা ওই কুমিরটির নাম মেরি। রুন্দেনগান বলছেন, ‘‘ডিয়েজির একটি হাত প্রায় খেয়েই ফেলেছিল কুমিরটা। ওঁর শরীরের বেশির ভাগ অংশই দেখা যাচ্ছিল না। সেই অংশ বোধ হয় মেরির পেটেই রয়েছে।’’ তিন ঘণ্টা ধরে লাগাতার চেষ্টার পর বিশালাকার ওই কুমিরটিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘেরাটোপ থেকে বাইরে নিয়ে আসা হয়। আর কঠিনতম এই কাজটি করেন রুন্দেনগানের ওই সংরক্ষণাগারের কর্মীরা, সেনা, পুলিশ প্রায় ১২ জনের একটি দল।
বেআইনি ভাবে পোষা ওই কুমিরটিকে একটি সংরক্ষণাগারেই রাখা হবে বলে জানিয়েছেন রুন্দেনগান। বন্যপ্রাণী এবং নানান প্রজাতির কুমিরের বিচরণক্ষেত্র ইন্দোনেশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ। এই দ্বীপপুঞ্জেরই পূর্ব প্রান্তে রাজা আম্পত দ্বীপপুঞ্জে ২০১৬ সালের এপ্রিলে কুমিরের হানায় মৃত্যু হয়েছিল এক রাশিয়ান পর্যটকের।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে মন্দিরের ভিতর উদ্ধার প্রযোজকের ঝুলন্ত দেহ
আরও পড়ুন: কুড়ি ঘণ্টার চেষ্টায় জঙ্গি-মুক্ত নাইরোবির অভিজাত হোটেল
(সারাবিশ্বের সেরা সব খবরবাংলায় পড়তে চোখ রাখতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy