তেহরানে এক সময় ইউরেনিয়ামের ভাঁড়ার।
রাশিয়া আর আমেরিকা হাত মিলিয়ে ইরানকে খোঁড়া করে দিল!
ভেঙে দেওয়া হল তেহরানের ‘বিষ দাঁত’!
অদূর ভবিষ্যতে ইরানের পক্ষে আর পরমাণু অস্ত্র বানানো সম্ভব হবে না।
তুলনায় কম শক্তিশালী হলেও, তেহরানের ভাঁড়ারে তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়াম আইসোটোপের যতটা মজুত ছিল, তার প্রায় পুরোটাই ইরান থেকে রুশ জাহাজে চাপিয়ে সরিয়ে নেওয়া হল। এই মুহূর্তে বাজারে যার মূল্য দশ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
কয়েক মাস আগে ইরানকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সই করিয়েছিল আমেরিকা ও রাশিয়া। তার শর্ত ছিল, তেহরানের ভাঁড়ারে পরমাণু অস্ত্র বানানোর জন্য জরুরি যতটা ইউরেনিয়াম মজুত রয়েছে, তার পুরোটাই ইরান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তার বদলে ইরানের ওপর থেকে তুলে নেওয়া হবে প্রায় এক দশক ধরে জারি থাকা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। যার ফলে, ইরান এ বার বিশ্বজুড়ে তার ইচ্ছা মতো দামে খনিজ তেল বেচতে পারবে। দেশে দেশে তেল রফতানি করতে পারবে তার মর্জিমাফিক পরিমাণে।
মজাটা এখানেই, একদা মস্কোর ‘বন্ধু দেশ’ ইরানকে পরমাণু অস্ত্রের নিরিখে ‘খোঁড়া’ করা হল তেহরানে মজুত ইউরেনিয়াম রুশ জাহাজে চাপিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়ে। আর সেটা যে সফল ভাবেই করা গিয়েছে, তার ঘোষণা করলেন মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতিশ্রুতি রাখতে ইরান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপটি করল।’’ যাদের জাহাজে চাপিয়ে ওই ইউরেনিয়াম তেহরান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেই রুশ পরমাণু সংস্থা ‘রোসাটম’-এর এক মুখপাত্র্ পরে ওই মার্কিন ঘোষণার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
গত সাত বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পর আগামী বছর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ইরানকে পারমাণবিক ভাবে ‘খোঁড়া’ করে দেওয়াটা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিদেশনীতির সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy