ফাইল চিত্র। এএফপি।
ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক ভাল। সেই সূত্রে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে আমেরিকাকে ফেরানোর জন্য তদ্বির শুরু করুক নয়াদিল্লি। রাইসিনা-বৈঠকের পরে ভারত থেকে ফেরার আগে এমনই আহ্বান জানালেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। তাঁর কথায়, ‘‘পরমাণু চুক্তিতে আমেরিকাকে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ভারত বড় ভূমিকা নিতে পারে। আমরা সেই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছি না।’’
২০১৫ সালে, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জমানায় ইরানের সঙ্গে তিন বছরের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি করেছিল ছয় শক্তিধর রাষ্ট্র— ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি, চিন এবং আমেরিকা। সেই চুক্তি অনুযায়ী, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি বন্ধ রাখলে তেহরানের উপর বসানো বিপুল আর্থিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে রাষ্ট্রপুঞ্জ, আমেরিকা ও অন্যান্য বেশ কিছু দেশ। এই চুক্তির ফলে এক দিকে যেমন ইরানকে নিয়ে চিন্তা কমে হাঁফ ছেড়েছিল আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়া, তেমনই প্রায় দশ হাজার কোটি ডলারের সম্পত্তি ফিরে পেয়েছিল ইরান। প্রেসিডেন্ট হওয়া ইস্তক ট্রাম্প বলে এসেছিলেন, ‘‘এই চুক্তি ওবামার অত্যন্ত ভুল পদক্ষেপ। এর ফলে আমেরিকার কোনও সুবিধে হয়নি। উল্টে ব্যাপক লাভ হয়েছে ইরানের।’’ শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালের মে মাসে হোয়াইট হাউসের তরফে একটি টুইট করে জানানো হয়, ‘‘আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি। তাই এই চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।’’
কূটনৈতিক শিবিরের কথায়, মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ইরান বারবার ভারতকে আহ্বান করলেও বাস্তবে সেই সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। ভারতের কথা শুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ইরান নীতি প্রণয়ন বা পরিবর্তন করবেন, সেটা কার্যত অসম্ভব। আজই ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খামেনেই-এর উদ্দেশে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘‘ইরানের মহান নেতা, যিনি এখন আর তত মহান নেই, আমেরিকা এবং ইউরোপ সম্পর্কে কিছু নোংরা কথা বলছেন। তাদের অর্থনীতি ধসে পড়ছে। সে দেশের মানুষের দুরবস্থা বাড়ছে। এখন নিজের বলা শব্দ সম্পর্কে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে তাঁকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy