বড়দিনের বাজারে লরি-হামলা তাদেরই এক যোদ্ধার কাজ, দাবি করল জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট। সোমবার রাতে বার্লিনের ওই ঘটনাকে প্রথম থেকে ‘জঙ্গি হামলা’ বললেও বুধবার পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তবে আটক করা লরিটি থেকে আনিস আনসারি নামে এক যুবকের লাইসেন্স উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের ধারণা, ২৩ বছরের ওই তিউনিশীয়ই মূল অভিযুক্ত। তার খোঁজে বার্লিনে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে। আনিসের খোঁজ দিতে পারলে ১ লক্ষ ইউরো পুরস্কার ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সংবাদমাধ্যম ‘আমাক’ আজ দাবি করে, পশ্চিমি সভ্যতার উপর আঘাত হানার ডাকে সাড়া দিয়ে আইএসেরই এক যোদ্ধা এই হামলা চালিয়েছে। তবে সন্ত্রাস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইএস মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছে কোনও পশ্চিম-বিদ্বেষী। তার সঙ্গে আইএসের সরাসরি যোগ না-ও থাকতে পারে।
পশ্চিম এশিয়ায় জঙ্গিদমনে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটে সরাসরি যুক্ত নয় জার্মানি। তবে বার্লিন প্রশাসন প্রথম থেকেই এই সন্ত্রাসদমন সমর্থন করেছে। জোটের সমর্থনে তাদের টর্নেডো যুদ্ধবিমান ও জ্বালানি সরবরাহকারী কয়েকটি বিমানও তুরস্কের সেনাঘাঁটিতে রয়েছে।
সোমবার শহরের প্রাণকেন্দ্র ব্রাইটশাইডপ্লাৎজের বড়দিনের বাজারে ঢুকে পড়া একটি লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১২ জনের। জখম ৪৮ জন। ভিড়ের মধ্যেই গাড়ি থামিয়ে চম্পট দেয় চালক। লরি থেকে উদ্ধার হয় আসল চালকের দেহ। হামলায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ প্রথমে ২৩ বছরের এক পাক শরণার্থীকে গ্রেফতার
করে। তাঁকে লরিতে দেখা গিয়েছে বলে পুলিশের কাছে দাবি বেশ কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শী। তবে ফরেন্সিক পরীক্ষায় কোনও প্রমাণ না মেলায় নাভেদ বালুচ নামে ওই যুবককে ছে়ড়ে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy