—ফাইল চিত্র।
ইরাকে তাদের শেষ গড় মসুল রক্ষা করতে ভয়ঙ্কর উপায় নিল আইএস। আর সেই উপায়কে সফল করতে হত্যা করা হল অন্তত ২৩২ জনকে। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংগঠনের মুখপাত্র রবিনা শামদাসানি জানিয়েছেন, গত বুধবার ইরাকের মসুলের কাছে ২৩২ জন সাধারণ নাগরিককে গুলি করে হত্যা করেছে আইএস জঙ্গিরা। এঁদের মধ্যে ১৯০ জন ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর প্রাক্তন কর্মী। বাকি ৬২ জনের একেবারেই নিরীহ সাধারণ নাগরিক। বুধবারই এই ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের খবর পৌঁছেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জে। কিন্তু তৎক্ষণাৎ তা প্রকাশ করা হয়নি। সম্ভাব্য সব সূত্র থেকে খবরের সত্যতা যাচাই করার পরই তা রিপোর্ট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে বলে রবিনা শামদাসানি জানিয়েছেন।
মসুল এখন ইরাকে আইএস-এর শেষ বড় ঘাঁটি। উত্তর ইরাকের এই শহরকে আইএস জঙ্গিদের কবল থেকে মুক্ত করতে মার্কিন সাহায্যপ্রাপ্ত ইরাকি বাহিনী চূড়ান্ত অভিযানে নেমেছে। কিন্তু মসুল হাতছাড়া হয়ে গেলে ইরাকে আইএস প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার দিকে এগোবে। তাই মসুল রক্ষা করতে মরিয়া লড়াইয়ে নেমেছে জঙ্গিরা। মার্কিন সাহায্যপ্রাপ্ত ইরাকি বাহিনীর মসুল প্রবেশ রুখতে যে পরিকল্পনা আইএস করেছে, তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর এবং তাতে বিপুল সংখ্যক প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। মসুলের আশেপাশে যে জেলাগুলি রয়েছে, সেখানকার বাসিন্দাদের জোর করে মসুলে নিয়ে আসছে আইএস জঙ্গিরা। তাঁদেরকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চলেছে আইএস। অর্থাৎ ইরাকি বাহিনী মসুলে ঢোকার চেষ্টা করলেই এঁদেরকে সেই বাহিনীর সামনে এগিয়ে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, মসুলে বিপুল সংখ্যক নিরপরাধ মানুষকে আটকে রাখা হলে, সে শহরের উপর আকাশপথে বোমা বর্ষণ করতেও ইরাক-মার্কিন যৌথ বাহিনী দ্বিধা করবে। কারণ তাতে অসংখ্য নিরপরাধের প্রাণহানির আশঙ্কা থাকবে।
আরও পড়ুন: কী ভাবে এল ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গি সংগঠন?
মসুলের আশপাশের জেলাগুলির যে সব বাসিন্দারা আইএস জঙ্গিদের ডাকে সাড়া দেননি অর্থাৎ নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে মসুলে যেতে চাননি, তাঁদেরই বুধবার গুলি করে মারা হয়েছে বলে খবর। এতে সন্ত্রস্ত গোটা এলাকা। এই পরিবেশ কায়েম করাই আইএস-এর লক্ষ ছিল। এই সন্ত্রাসে ভর করেই ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে মসুলে ঢোকানোর তোড়জোড় শুরু করেছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy