Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
International News

মসুলের পর এ বার রাক্কাতেও পতন হতে চলেছে আইএসের

তিন বছর পর কি সত্যি সত্যিই জঙ্গিদের দখলমুক্ত হতে যাচ্ছে সিরিয়ার শহর রাক্কা? আজ-কালের মধ্যেই?

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার শহর রাক্কা।

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার শহর রাক্কা।

সংবাদ সংস্থা
রাক্কা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৭ ১৬:০০
Share: Save:

ইরাকের মসুলের পর কি এ বার সিরিয়ার রাক্কাও হাতছুট হতে যাচ্ছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের?

তিন বছর পর কি সত্যি সত্যিই জঙ্গিদের দখলমুক্ত হতে যাচ্ছে সিরিয়ার শহর রাক্কা? আজ-কালের মধ্যেই?

সিরিয়ার কুর্দদের ওয়াইপিজি মিলিশিয়া বাহিনীর তরফে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। বাহিনীর মুখপাত্র নৌরি মাহমুদ বলেছেন, ‘‘ভয়ঙ্কর যুদ্ধ চলছে রাক্কায়। দায়েশ (আইএস)-রা প্রায় নিকেশ হয়ে যাওয়ার মুখে। আজ, কালের (শনি, রবিবার) মধ্যেই রাক্কা পুরোপুরি দখলমুক্ত হয়ে যেতে পারে।’’

রাক্কাকে আইএসের দখলমুক্ত করতে গত জুন মাস থেকেই লড়াই করছে মার্কিন মদতপুষ্ট সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এসডিএফ)। আরব ও কুর্দিশদের নিয়ে গড়া সেই বাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছে ওয়াইপিজি মিলিশিয়া। তিন বছর ধরে রাক্কা কার্যত ‘রাজধানী’ হয়ে উঠেছিল আইএসের।

আরও পড়ুন- আসছে সপ্তাহেই আমেরিকায় হামলার ছক উত্তর কোরিয়ার: রিপোর্ট​

আরও পড়ুন- কোথায় বিমল? ড্রোনের সাহায্যে জোরদার তল্লাশি জঙ্গল-পাহাড়ে​

ওই বাহিনী সূত্রে খবর, রাক্কার উপদ্রুত এলাকা থেকে ভয়ার্ত মানুষজনকে বাসে চাপিয়ে দখলমুক্ত এলাকাগুলিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।

‘দ্য ব্রিটেন-বেসড অবজারভেটরি’ জানিয়েছে, আইএসের বহু বিদেশি জঙ্গি আর তাদের পরিবার পরিজনও এখন রাক্কা ছেড়ে পালাতে মরীয়া হয়ে উঠেছে। তাদেরও বাসে চাপিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে রাক্কা ছেড়ে পালাতে মরীয়া আইএস জঙ্গি আর তাদের পরিবার পরিজনকে কোথায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা গোপন রাখা হয়েছে।

ওয়াইপিজি মিলিশিয়ার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, গত অগস্টেই সিরিয়া ও লেবাননের সীমান্ত ছেড়ে অন্যত্র সরে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল আইএস জঙ্গিরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE