দক্ষিণ বেথলেহেমের ওই ঘটনার ভিডিয়ো-ছবি ভাইরাল
চোখে সাদা কাপড় আর দু’হাত পিছমোড়া করে বাঁধা। বন্দি প্যালেস্টাইনি কিশোর। এবং ওই অবস্থাতেই তার দু’পায়ে গুলি করার অভিযোগ উঠল ইজ়রায়েলি সেনার বিরুদ্ধে। তাদের পাল্টা দাবি, কিশোরটি তাদের হাত ছাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। তা বলে সটান গুলি? এখন ওই কিশোরের শারীরিক পরিস্থিতি তেমন উদ্বেগজনক নয়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে দক্ষিণ বেথলেহেমের ওই ঘটনার ভিডিয়ো-ছবি ভাইরাল হতেই প্রশ্নটা উঠে গেল।
ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। এ দিকে প্যালেস্তাইনিদের মধ্যে তো বটেই, আইডিএফের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আন্তর্জাতিক
মহলেরও একটা বড় অংশ। ঠিক কী ঘটেছিল সে দিন?
ঘটনাস্থল টুকু গ্রামেরই এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, সে দিন পথদুর্ঘটনায় মৃত এক স্কুল শিক্ষকের শেষকৃত্য হচ্ছিল এলাকায়। দেখার মতো ভিড় হয়েছিল। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার দোহাই দিয়ে জড়ো হয়েছিল আইডিএফ-ও। সব ঠিক ছিল। হঠাৎই প্যালেস্তাইনিদের একাংশ সেনাকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া শুরু করে বলে আইডিএফের দাবি। এবং এই অভিযোগেই বছর পনেরোর কিশোর ওসামা আল-বদানকে আটক করে সেনা। এর খানিক পরে কিশোর সেনার হাত ছাড়িয়ে পালাতে গেলেই বন্দুক উঁচিয়ে ওসামার দু’পায়ে পর-পর গুলি করে মারে সেনা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তোলা কিছু ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে ঘটনার পুরোটাই। একটিতে যেমন দেখা গিয়েছে, আহত কিশোরকে সেনার খপ্পর থেকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে আইডিএফের এক সদস্য স্পষ্ট শাসানি দিয়ে বলছে— ‘‘কেউ এক পা এগোলেই মাথায় গুলি করব।’’ স্থানীয়দের অবশ্য দাবি, আইডিএফ-ই কিশোরটির প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। ওসামার বাবা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে এখন অনেকটাই বিপন্মুক্ত। সেনাও ছেড়ে দিয়েছে।
তবু ক্ষোভ কমছে না অনেকেরই। ঘটনার পর-পর আহত কিশোরের বাবাও দাবি করেছিলেন, ‘‘এটা অন্যায়। আমার ছেলে পাথর ছোড়েনি। ছুড়লে স্বীকার করত। তবু ওকে ধরে হল। পালাচ্ছিল বলে গুলি মারতে হল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy