এ বার কী তবে মানভঞ্জনের পালা!
সব থেকে ঘনিষ্ঠ ‘মিত্ররাষ্ট্র’। সেই ব্রিটেনকেই বেজায় চটিয়ে দিয়েছে আমেরিকা। সৌজন্য, নতুন প্রেসিডেন্ট ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গোদের আলটপকা মন্তব্য! তবে ব্রিটেনের কড়া প্রতিক্রিয়ার পরে দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষতে মলম দিতে শুরু করেছেন মার্কিন কূটনীতিকরা।
একটি মার্কিন চ্যানেলের দাবি, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় বারাক ওবামার নির্দেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনে আড়ি পাততে সাহায্য করেছিল ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা গর্ভনমেন্ট কমিউনিকেশন হেড কোয়ার্টার্স (জিসিএইচকিউ)। সেই রিপোর্ট উদ্ধৃত করে গতকাল ব্রিটেনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন হোয়াইট হাউসের মিডিয়া সচিব শন স্পাইসার। যার পরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে টেরেসা মে-র দেশ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র জেমস স্ল্যাক আজ বলেন, ‘‘আমরা ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, এই হাস্যকর অভিযোগ উপেক্ষা করা উচিত।’’ অবশ্য তার আগেই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওয়াশিংটনে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত কিম দারোশের সঙ্গে কথা বলেছেন স্পাইসার। দু’জনের কী কথা হয়েছে তা জানানো না হলেও, ট্রাম্প-বাহিনী যে পিছু হটছে, তা মালুম হচ্ছে।
ট্রাম্প নিজেও সমানে অভিযোগ তুলেছেন যে, নির্বাচনের সময়ে প্রেসিডেন্ট ওবামার নির্দেশে নিউ ইয়র্কে ট্রাম্প টাওয়ারের উপরেও নজর রাখা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার একটি মার্কিন সংবাদ চ্যানেলের আইনি বিশ্লেষক অ্যান্ড্রু নাপোলিতানো অভিযোগের আঙুল তোলেন ব্রিটেনের দিকে। তাঁর দাবি, তিনি তদন্ত করে দেখেছেন যে, সিআইএ, এনএসএ বা এফবিআইয়ের মতো কোনও মার্কিন সংস্থা নয়, ট্রাম্পের ফোনে আড়ি পাতার জন্য ওবামা ব্যবহার করেছিলেন ব্রিটেনের গুপ্তচর সংস্থা জিসিএইচকিউ-কে। তার পর বৃহস্পতিবার নাপোলিতানোকে উদ্ধৃত করে একই অভিযোগ করেন হোয়াইট হাউসের মিডিয়া সচিব শন স্পাইসার।
হোয়াইট হাউস কি ব্রিটেনের কাছে ক্ষমা চ়েয়েছে? স্পষ্ট উত্তর না দিলেও প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বলেন, ‘‘হোয়াইট হাউস কথা দিয়েছে যে, এমন অভিযোগ আর তারা করবে না।’’ এই অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ ও ‘উপেক্ষার যোগ্য’ বলেছে জিসিএইচকিউ-ও। মার্কিন হাউস অব রিপ্রেসেনটেটিভের স্পিকার পল রায়ানও জানিয়েছেন, ট্রাম্প টাওয়ারের উপর নজরদারি চালানোর কোনও প্রমাণ মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy