জে কে রোলিং। ফাইল চিত্র
তরুণীবেলায় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। প্রথম বিয়েতে সয়েছেন গার্হস্থ হিংসা।
নিজের ওয়েবসাইটে এই কথা জানান ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রোলিং।
নামে প্রবন্ধ হলেও আসলে একটা খোলা চিঠি লিখেই তাঁকে ঘিরে সদ্য ঘনিয়ে ওঠা বিতর্কের জবাব দিতে চেয়েছেন হ্যারি পটারের স্রষ্টা। সম্প্রতি একটি সংবাদ প্রতিবেদনে রূপান্তরকামীদের নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। পরে আরও টুইটে তিনি যুক্তি দেন, প্রকৃতিগত ভাবে সৃষ্ট পুংলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গের উপস্থিতি কেন জরুরি। তোলপাড় পড়ে সমাজমাধ্যমে। অভিযোগ ওঠে, লেখিকার এই মন্তব্য আসলে রূপান্তরকামীদের প্রতি তাঁর বিদ্বেষের প্রকাশ। পর্দার ‘হ্যারি পটার’ ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ, ‘হারমায়নি’ এমা ওয়াটসন পর্যন্ত বলেছিলেন, রোলিংয়ের সঙ্গে তাঁরা একমত নন।
তারই জবাব দিতে গিয়ে মেয়ে হিসেবে নিজের নিরাপত্তাহীনতার কথা বলেছেন ৫৪ বছরের রোলিং। কিশোরী বয়সে চূড়ান্ত বাতিকগ্রস্ত হয়ে পড়া থেকে শুরু করে গুরুতর যৌন নির্যাতনের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা— এ সবেতেই তাঁর মনে হয়েছে, মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। তিনি লিখেছেন, ‘একটাই জিনিস চেয়েছি। মেয়েদের জন্যও একই রকম দরদ দেখানো হোক।’
রোলিং জানিয়েছেন, তাঁর বাবা পুত্রসন্তান চেয়েছিলেন। নিজেকে ক্লীবলিঙ্গ মনে হত। কাজেই রূপান্তরকামীদের প্রতি তাঁর সমবেদনা রয়েছে। আশির দশকে উপায় থাকলে তিনিও হয়তো পুরুষ হয়ে যেতেন। কিন্তু তিনি শান্তি খুঁজেছিলেন বইয়ে, গানবাজনায়। রোলিংয়ের মতে, আজকের প্রজন্মকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা চরম সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলে। যেন লিঙ্গ পরিবর্তনটাই একমাত্র সমাধান। বরং চাপের মুখে মেয়েরা যাতে লিঙ্গ পরিবর্তনের কথা না-ভাবেন, তা দেখা জরুরি।
ওয়েবসাইটে রোলিং লিখেছেন, বয়স যখন কুড়ির কোঠায়, তখন যৌন হেনস্থার শিকার হন রোলিং। সেই ভয়ের অভিজ্ঞতা আছে বলেই পুরুষদের হিংসার শিকার হওয়া রূপান্তরকামী মহিলাদের সঙ্গে একাত্ম বোধ করেন তিনি, মত রোলিংয়ের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy