Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

‘নিরপেক্ষ’ থেকে ফের ব্রেক্সিট-ভোট চাইছেন করবিন

আর করবিন জানিয়েছেন, ভোটে জিতলে প্রথমেই তিনি জনসনের ওই চুক্তি ছিঁড়ে ফেলবেন।

ছবি:রয়টার্স।

ছবি:রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৫৯
Share: Save:

ব্রিটেনে এ বার লেবার পার্টি ক্ষমতায় এলে ব্রেক্সিট নিয়ে নতুন করে গণভোট করানোর কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী জেরেমি করবিন। আর তাতে তিনি যে আগাগোড়া নিরপেক্ষ অবস্থান নেবেন, কাল এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা-ও স্পষ্ট করে দিলেন লেবার নেতা। তাঁর কথায়, ‘‘গণভোটে যা-ই ফল হোক না কেন, তার স্বচ্ছতা নিয়ে যাতে প্রশ্ন না-ওঠে, সে জন্যই আমার নিরপেক্ষ থাকাটা জরুরি।’’

ব্রেক্সিট-কাঁটা মাথায় রেখেই ডিসেম্বরে ফের সাধারণ নির্বাচনে নামছে ব্রিটেন। পাঁচ বছরেরও কম সময়ে এই নিয়ে চার বার! ক্ষমতাসীন কনজ়ারভেটিভ পার্টিকে হটাতে কোমর বেঁধে নেমেছেন করবিনরা। ক্ষমতায় আসছেন ধরে নিয়েই লেবার নেতা জানিয়েছেন, গোড়াতেই তাঁরা ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ফের দর কষাকষি করবেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে। করবিনের কথায়, ‘‘ইইউয়ের সঙ্গে নতুন করে বাণিজ্যিক চুক্তিতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’’ কিন্তু ব্রেক্সিটের কী হবে? বিরোধী দল তাদের ইস্তাহারেই জানিয়েছে, ব্রিটেন আদৌ ইইউ ছেড়ে বেরোতে চায় কি না, সেটা জনতাই ঠিক করবে। ক্ষমতায় আসার ছ’মাসের মধ্যে দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনের কথা বলছেন করবিনরা।

এ দিকে, জমি ছাড়তে নারাজ ব্রেক্সিট-পন্থী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও। ১২ ডিসেম্বরের ভোটকে ‘ব্রেক্সিট ভোট’ হিসেবেই অভিহিত করে নির্বাচনী প্রচারে তিনি স্লোগান তুলছেন— ‘গেট ব্রেক্সিট ডান।’ তাঁরর আশ্বাস, তিনি ফের ক্ষমতায় এলে খুব অল্প সময়েই ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন হবে। ইইউ-এর সঙ্গে যে সমঝোতা চুক্তিটি তিনি করেছেন, ভোটে জিতে এসে তা পার্লামেন্টে পাশ করিয়ে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ইইউ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চান জনসন।

আর করবিন জানিয়েছেন, ভোটে জিতলে প্রথমেই তিনি জনসনের ওই চুক্তি ছিঁড়ে ফেলবেন। পরে ইউরোপের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে নতুন করে ঝাঁপাবেন। ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোটেও অযথা বিলম্ব চান না তিনি। বেশ কয়েক জন লেবার এমপি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ইইউ-এ থাকার পক্ষেই ভোট দেবেন। কাল প্রথম বার করবিন জানালেন, ব্রেক্সিট নিয়ে দ্বিতীয় গণভোটে তিনি নিরপেক্ষই থাকবেন। ২০১৬-র ব্রেক্সিট গণভোটে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে। তা নিয়ে তদন্তও হয়েছে। কিন্তু জনসন আগাগোড়া সেই রিপোর্ট চেপে গিয়েছেন। ভোটের ময়দানে এটাও করবিনের পোক্ত হাতিয়ার হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jeremy Corbyn Brexit
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE