ছবি: এএফপি।
আমেরিকার প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামার শপথ নেওয়ার সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত খুব কাছ থেকে চাক্ষুষ করেছিলেন ওবামার তৎকালীন ‘রানিং মেট’ জো বাইডেন। সাতাত্তরে পৌঁছে এ বার বাইডেন নিজেই হোয়াইট হাউসের দৌড়ে— ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। জিতলে তিনিই হবেন দেশের প্রবীণতম প্রেসিডেন্ট। একাধিক জনমত সমীক্ষা বলছে, জনপ্রিয়তার নিরিখে ট্রাম্পের থেকে অন্তত আট পয়েন্টে এগিয়ে তিনি। কাল দলীয় সমাবেশের অনলাইন মঞ্চে সতীর্থদের মনোনয়ন স্বীকার করতে গিয়ে কার্যত প্রচারেও নেমে পড়লেন বাইডেন। মুখে অবশ্য বললেন, ‘‘এই প্রচার ভোটে জিততে নয়। সহ-নাগরিকদের মন জিততে। আমেরিকার আত্মাকে জয় করতে। যে অন্ধকার সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ, দ্রুত তা দূর করব।’’
প্রতিদ্বন্দ্বীর মন্তব্যের কড়া বিরোধিতা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, বাইডেনের বক্তব্য শুধুই কথার কথা। আজ পর্যন্ত কোনও কথাই কাজে পরিণত করতে পারেননি। এখানেই শেষ নয়, কাল পেনসিলভেনিয়ায় বাইডেনের জন্মস্থানে ভোট-প্রচারে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘‘বাইডেন ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে, সেটা একটা ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠবে গোটা দেশের কাছে।’’ আর দল হিসেবে ডেমোক্র্যাটদের বিঁধতে গিয়ে ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, ‘‘পঞ্চাশ বছর ধরে এই বাইডেনরাই মার্কিন নাগরিকদের বঞ্চিত করে সব চাকরি বেচে দিয়েছে বাইরের সব দেশের কাছে।’’
কালই ছিল ‘ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনের’ চতুর্থ তথা শেষ দিন। সতীর্থ, সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বাইডেন তাঁর সমাপ্তি ভাষণে বলেন, ‘‘আপনারা যে দায়িত্ব আমায় দিয়েছেন, তা আমার সব শক্তি দিয়ে পালনের চেষ্টা করব। সবাই মিলে আমরা এই অন্ধকার দূর করবই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy