জো বাইডেন। —ফাইল চিত্র
নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হচ্ছেন জো বাইডেন-ই। অগস্টে উইসকনসিনে ডেমোক্র্যাটদের জাতীয় কনভেনশনে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাইডেনের নাম ঘোষিত হবে। গত কালই ৩৯৭৯ জন প্রতিনিধির মধ্যে ১৯৯১ জনের সমর্থন পেয়ে যান এই নেতা। ফলে ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি হচ্ছেন প্রাক্তন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
বার্নি স্যান্ডার্স আচমকা দৌড় থেকে সরে আসার পরে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে বাইডেনের নামই ঘুরছিল। স্যান্ডার্স আগেই জানান, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তাঁর প্রচারদল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাইডেনের প্রচারদলের সঙ্গে লড়বে। চলতি বছরের গোড়ায় অনেক ডেমোক্র্যাট নেতাই প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার দৌড়ে নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে বরাবরই এগিয়েছিলেন বাইডেন।
ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক বাইডেন জনপ্রিয়তার নিরিখে বর্তমান প্রেসিডেন্টের থেকেও কিন্তু অনেকটাই এগিয়ে। ট্রাম্পের অবশ্য দাবি, এই সব সমীক্ষায় তিনি বিশ্বাসী নন। নভেম্বরে আসল লড়াইয়ে তিনিই জিতবেন বলে আশাবাদী ট্রাম্প। বাইডেনকে ‘স্লিপি জো’ বলে ডেকে থাকেন ট্রাম্প। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হলে করের বোঝা বাড়বে বলেও আমেরিকার মানুষকে সতর্ক করেছেন ট্রাম্প। বাইডেনের সীমান্ত নীতিকেও বরাবর আক্রমণ করে এসেছেন তিনি।
তবে বাইডেনও ট্রাম্পকে খোঁচা দিয়েই বলেছেন, ‘‘দেশে এখন নেতৃত্বের বড্ড অভাব। এমন এক জননেতা আমাদের প্রয়োজন, যিনি গোটা দেশকে সঙ্ঘবদ্ধ করবেন, যিনি সকলকে সকলের সঙ্গে জুড়বেন।’’
কাল ডেলাওয়ার স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা দিতে গিয়েও ট্রাম্পের আর্থিক নীতির সমলোচনা করেছেন বাইডেন। তাঁর অভিযোগ, লক্ষ লক্ষ মার্কিন নাগরিকের চাকরি খোয়ানোর কোনও দায়ই প্রেসিডেন্ট নিচ্ছেন না। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ফের চাকরিতে যোগদান করলেও এই প্রেসিডেন্টের কোনও কৃতিত্ব থাকবে না। আগেও বাইডেন বলেছিলেন, ‘‘এমন এক প্রেসিডেন্ট আমাদের দরকার, যিনি আমাদের যত্ন নেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy