জন মুরের তোলা ক্রাইং গার্ল ওন দ্যা বর্ডার। ছবি: এএফপি
আলান কুর্দি বা ওরমান দাকনিশের ছবি এখনও স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে। সেই ক্ষত মনে হয় আরও একবার উস্কে দিলেন জন মুর। গত বছর বিশ্ব জুড়ে ৪৭৩৮ জন আলোকচিত্রীর ৭৮,৮০১টি ছবির মধ্যে সেরা বিবেচিত হয়েছে জন মুরের ‘ক্রাইং গার্ল ইন দ্যা বর্ডার’ শীর্ষক ছবিটি।
দীর্ঘদিন আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে কাজ করছেন চিত্র সাংবাদিক জন মুর। গত বছর তাঁর তোলা একটি ছবি পুরস্কার জিতে নিয়েছে। ছবিটি গত বছর প্রকাশ্যে আসার পরই আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। জন মুর জানিয়েছেন, ১২ জুন ২০১৮-র সন্ধ্যায় তিনি এই ছবিটি তুলেছেন। সেদিন ঘুটঘুটে অন্ধকার ছিল। মেক্সিকো থেকে বেশ কয়েকজন উদ্বাস্তু সীমান্ত পেরিয়ে টেক্সাসে ঢোকার চেষ্টা করেন। সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা অফিসাররা তাঁদের ওপর স্পট লাইট ফেলেন। ধরে পড়ে যান উদ্বাস্তুরা। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন হন্ডুরাসের স্যান্ড্রা স্যানচেজ ও তাঁর দু’বছরের শিশু কন্যা ইয়ানেলা। স্যানচেজের তল্লাশি শুরু হতেই ভয়ে কাঁদতে শুরু করে দেয় কন্যা ইয়ানেলা। কয়েক মুহূর্তের সেই ঘটনা বন্দি হয় জন মুরের ক্যামেরায়। ছবিটির নাম দেন ‘ক্রাইং গার্ল ইন দ্যা বর্ডার’। ছবিটি ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অ্যাওয়ার্ডের স্পট নিউজ, সিঙ্গলস ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার জিতে নিয়েছে।
ক্ষমতায় আসার পরই উদ্বাস্তুদের নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ধরা পড়া এই সব উদ্বাস্তু শিশুদের বাবা, মায়ের থেকে আলাদা করে কোনও আত্মীয় বা ফস্টার হোম অথবা কোনও শিবিরে রেখে দেওয়া হয়। তবে গত বছর এই ছবিটি প্রকাশ্যে আসার পর মার্কিন প্রশাসনের তরফে জানানো হয় স্যানচেজ ও ইয়ানেলকে আলাদা রাখা হয়নি। তারা একসঙ্গেই আছে।
আরও পড়ুন : ন্যাটো জোটে আসছে ভারত? বিল মার্কিন কংগ্রেসে
আরও পড়ুন : ইডেনে আজ সবুজ পিচ? দলে দু’টি পরিবর্তন? দেখে নিন নাইটদের সম্ভাব্য একাদশ
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুরস্কার ঘোষণার পর জন মুর জানিয়েছেন, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে তাঁর কাজের মধ্যে দিয়ে সব সময় চেষ্টা করেছেন যাতে এই উদ্বাস্তু সমস্যাকে মানবতার চোখ দিয়ে দেখা হয়। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯০ সালে স্নাতক হওয়ার পর ৫টি মহাদেশের ৭৫টি দেশে এই পর্যন্ত কাজ করেছেন জন মুর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy