Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Julian Assange

ইকুয়েডর প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত ছবি ‘ফাঁস’ করাই কি অ্যাসাঞ্জের বিপদ ডেকে আনল?

সূত্রের খবর, ২০১৭-য় প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো যখন ইকুয়েডরের ক্ষমতায় আসেন সে সময় থেকেই বর্তমান সরকারের সঙ্গে ‘নানা কারণে’ দূরত্ব বাড়তে শুরু করে।

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ।

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ।

সংবাদ সংস্থা
কুইটো শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:২৩
Share: Save:

সম্পর্কের টানাপড়েনটা চলছিল অনেক দিন ধরেই। বৃহস্পতিবারই তাঁর ‘মাথার উপর’ থেকে হাত তুলে নেয় ইকুয়েডর। আর তার পরই উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করে ব্রিটিশ পুলিশ। গত সাত বছর ধরে ইকুয়েডরে রাজনৈতিক পুনর্বাসনে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ।

আমেরিকার গোপন নথি উইকিলিকস-এ ফাঁস করে দিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। তখন থেকেই ইকুয়েডরের প্রাক্তন সরকার প্রেসিডেন্ট রাফাল করিয়ার চোখে ‘হিরো’ হয়ে ওঠেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর সময়েই রাজনৈতিক পুনর্বাসন দেওয়া হয় অ্যাসাঞ্জকে।

সূত্রের খবর, ২০১৭-য় প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো যখন ইকুয়েডরের ক্ষমতায় আসেন সে সময় থেকেই বর্তমান সরকারের সঙ্গে ‘নানা কারণে’ দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। অনলাইনে রাজনৈতিক মন্তব্য না করতে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় অ্যাসাঞ্জকে। তাঁর বিরুদ্ধে বেনামে ওয়েবসাইট চালানোর অভিযোগ তুলেছে মোরেনো সরকার। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, ওই ওয়েবসাইটে মোরেনোর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয় নিয়েও নানা বিষয় প্রকাশ করা হয়। ওয়েবসাইটে আরও দাবি করা হয়, মোরেনো যখন রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধি ছিলেন সে সময় তাঁর ভাই বেশ কয়েকটি সংস্থা খোলেন। তাঁর পরিবার ইউরোপে বিলাসবহুল জীবনযাপন কাটিয়েছেন।

‘আইএনএ পেপার্স’ নামে প্রকাশিত সেই নথিতে মোরেনো ও তাঁর পরিবারের ব্যক্তিগত ছবিও ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই তথ্য সামনে আসার পর মোরেনো প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ও ছবি হ্যাক করার কে অধিকার দিয়েছে অ্যাসাঞ্জকে? যদিও উইকিলিকস-এর তরফে টুইট করে দাবি করা হয়, এই তথ্য ফাঁসে কোনও ভাবেই জড়িত নন অ্যাসাঞ্জ। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করে উইকিলিকস।

আরও পড়ুন: ন্যাটো জোটে আসছে ভারত? বিল মার্কিন কংগ্রেসে

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে সন্দেহটা দৃঢ় হতে শুরু করে মোরেনোর। ফলে তাঁদের মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে। শুধু তথ্য ফাঁসই নয়, দূতাবাসে থাকাকালীন দুর্ব্যবহারেও অভিযোগ উঠেছে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে। ইকুয়েডরের বিদেশমন্ত্রী হোসে ভ্যালেন্সিয়ার অভিযোগ, দূতাবাসে থাকাকালীন অ্যাসাঞ্জ যে ফোনটা ব্যবহার করতেন সেটার কোনও রেজিস্ট্রেশন ছিল না। দূতাবাসের পরিবেশও খারাপ করছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে।

যদিও এই বিষয়গুলির জন্যই অ্যাসাঞ্জের পুনর্বাসন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ইকুয়েডর সরকার দাবি করছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোরেনোর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এবং ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের সন্দেহে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইকুয়েডর সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE