প্রতীকী ছবি।
ছুটির দিন। ফুরফুরে মেজাজে তাই কোনও রকম নিরাপত্তা ছাড়াই তিনি বেরিয়ে পড়েছিলেন। করাচির এক চিনা রেস্তরাঁয় দুপুরের খাওয়া সেরে সবে তখন পা রেখেছেন রাস্তায়। হঠাৎ ধেয়ে এল গুলি। পর-পর ন’টা। মাথা থেকে বুক— গুলিতে ঝাঁঝরা। হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মারা গেলেন চিনা বহুজাতিক সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর চেন ঝু (৪৬)।
৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। করাচির রাজপথে দিনেদুপুরে এমন খুনের কোনও সম্ভাব্য কারণের কথা এখনও জানায়নি পুলিশ। তদন্ত করছে পুলিশের সন্ত্রাস-দমন শাখ। সাংহাইয়ের ওই সংস্থাটি ১৯৯৪ থেকে ব্যবসা করছিল পাকিস্তানে। গত সপ্তাহে ওই খুনের খবর পেয়েই নড়ে বসে চিন। পাক কূটনীতিকদের আশঙ্কা, এর জেরে ধাক্কা খেতে পারে ‘ওবর’-এ (ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড) লগ্নিও। পাকিস্তান-সহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশকে নিয়ে পরিকাঠামো প্রকল্প ‘ওবর’-এ ৫ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে চিন। পাকিস্তানে কর্মরত চিনা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দিয়েছে বেজিং। ।
ওবর প্রকল্পের মধ্যেই পড়ছে চিন-পাকিস্তান আর্থিক করিডরের কাজ। তার সুরক্ষায় পাক বাহিনী ইতিমধ্যেই সেখানে অতিরিক্ত ১৫ হাজার সেনা মোতায়েন করছে। চিন তবু সন্তুষ্ট হতে পারছে না। পাকিস্তানে চিনা লগ্নির ব্যাপারে গোড়া থেকেই আপত্তি জানিয়ে এসেছে ভারত। করাচিতে চিনা কর্তা খুনের প্রসঙ্গ টেনে আজ ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, ‘‘আশা করি এ বার বেজিং বুঝতে পারবে, সন্ত্রাসবাদ কী ভাবে পাকিস্তানের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে। তবু যে ওরা লগ্নি করছে, সেটাই আশ্চর্যের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy