যতই দিন যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বুকের ছাতি আরও চওড়া হচ্ছে!
কাশ্মীর ইস্যুতে ফের ভারতের পাশে এসে দাঁড়াল আমেরিকা। গত তিন সপ্তাহে এই নিয়ে তৃতীয় বার। বুঝিয়ে দিল, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ যতই একে ওকে ডাকতে চান না কেন, আমেরিকা তাতে কিছুতেই নাক গলাতে চায় না। আমেরিকা চায়, কোনও তৃতীয় পক্ষ নয়, কাশ্মীর সমস্যাটা মেটাতে ভারত আর পাকিস্তানই শুধু আলোচনার টেবিলে বসুক। আর কামানের গোলায় জিইয়ে না রেখে কাশ্মীর সমস্যাটা আলোচনার টেবিলে বসেই মিটিয়ে নিক দুই প্রতিবেশী দেশ।
উরি হামলা আর ভারতের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে’র পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ আবার উঠে-পড়ে লেগেছেন যাতে কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে চিন, আমেরিকা, রাশিয়ার মতো শক্তিধর দেশগুলিকেও আলোচনার টেবিলে টেনে আনা যায়। যাতে শক্তিধর দেশগুলিকে দিয়ে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যায়।
কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রীর সেই ‘ফন্দি’র শরিক হতে আমেরিকার যে বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই, মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের তরফে তা আরও এক বার বুঝিয়ে দেওয়া হল। মন্ত্রকের মুখপাত্র এলিজাবেথ ত্রুদু মঙ্গলবার বলেছেন, ‘‘কাশ্মীর নিয়ে আমরা আগেও যা বলেছি, এখনও তাই বলছি। আমাদের অবস্থান একটুও বদলায়নি। আমরা মনে করি এবং আন্তরিক ভাবেই বিশ্বাস করি, কাশ্মীর একটি দ্বিপাক্ষিক ইস্যু। এটা ভারত ও পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এটা একমাত্র দু’টি দেশই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মেটাতে পারে। উপমহাদেশে সাম্প্রতিক অস্থিরতা কমাতে আমরা ভারত ও পাকিস্তান, দুই দেশের সঙ্গেই আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আলাদা আলাদা ভাবে। ভারতীয় উপমহাদেশে অস্থিরতা কমাতে দু’টি দেশ যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সেটাই মেনে নেব। সেটাকেই সমর্থন করব। দু’টি দেশের সঙ্গেই আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। আর আমরা সেটা ধরে রাখতে চাই।’’
কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে অন্য শক্তিধর দেশগুলিকে এগিয়ে আসার জন্য সোমবার আহ্বান জানিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। মঙ্গলবার ইসলামাবাদে একটি বৈঠকের পর পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা ভারতের দখলে থাকা জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি বুঝে আসার জন্য চাই, একটি আন্তর্জাতিক ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন’ (তথ্যানুসন্ধানী অভিযান) সেখানে পাঠানো হোক।’’
আরও পড়ুন- উত্তেজনা কমাতে কথা হয়েছে দু’পক্ষের, দাবি করলেন আজিজ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy