Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Expat Quota Bill

কুয়েতে বিল, বিপাকে ভারতীয়েরা

বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৫ শতাংশ ভারতীয় কুয়েতে থাকতে পারবেন।

ছবি এএফপি।

ছবি এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
কুয়েত সিটি শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২০ ০৪:২৮
Share: Save:

দেশের জনসংখ্যা ৪৩ লক্ষের কাছাকাছি। তার মধ্যে মাত্র ১৩ লক্ষ দেশের নাগরিক। বাকি ৩০ লক্ষই প্রবাসী! যাঁরা ভিন্‌ দেশ থেকে রুজির খোঁজে এ দেশে এসে রয়েছেন। এ বার সেই প্রবাসীর সংখ্যা কমাতে তৎপর হল কুয়েত সরকার। সম্প্রতি কুয়েতের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি কমিটি একটি সংরক্ষণ বিলের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে। যার আঁচ পড়তে চলেছে কুয়েতে বসবাসকারী প্রায় ৮ লক্ষ ভারতীয়ের উপরে। খসড়া বিল আইন হিসেবে পাশ হলে দেশ ছাড়তে হবে এই ৮ লক্ষ ভারতীয়কে। উপসাগরীয় এলাকার এক প্রথম সারির দৈনিকের এমনই দাবি।

বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৫ শতাংশ ভারতীয় কুয়েতে থাকতে পারবেন। তবে শুধু ভারতীয়েরাই নন, কোপ পড়তে চলেছে অন্য দেশ থেকে আসা প্রবাসীদের উপরেও।

করোনা অতিমারির জেরে তেলের ব্যবসায় এখন অতিমন্দার ছায়া। সেই সঙ্গে ভিন্‌ দেশের শ্রমিকদের মধ্যে হু হু করে বাড়ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে গত মাসেই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবা আল খালিদ আল সাবা প্রবাসীদের পরিমাণ ৭০ থেকে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দেন।

কুয়েতের প্রবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ হল ভারতীয়েরা। এখানকার ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, অন্তত ২৮ হাজার ভারতীয় এখানে সরকারি চাকরি করেন। তবে এঁদের বাইরে একটা বড় অংশ বেসরকারি ক্ষেত্রেও কর্মরত। দেশের ২৩টি ভারতীয় স্কুলে ৬০ হাজার ভারতীয় ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে।

এ দেশে ৪৯ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত। যাঁদের একটা বড় অংশ ভিন্ দেশ থেকে আসা শ্রমিক। অ্যাসেম্বলির স্পিকার মারজুক আল-ঘানেমের কথায়, ‘‘কুয়েতের ৩০ লক্ষ প্রবাসীর মধ্যে দশ লক্ষেরও বেশি নিরক্ষর। শ্রমিকের কাজ করতে এসেছেন। ডাক্তার বা দক্ষ কর্মচারীদের আমরা জায়গা দিতে পারি। কিন্তু এত বিপুল অদক্ষ কর্মচারীর প্রয়োজন নেই আমাদের দেশে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Expat Quota Bill Kuwait
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE