সেই নতুন বিমান ‘অ্যান্টিপোড’।
ছয় ঘণ্টার লম্বা দূরত্ব মুছে যাবে মাত্র সাড়ে ছ’শো সেকেন্ডে!
বাতাসে শব্দের গতিকে এ বার টপকে যেতে পারবে মানুষ! আলোর গতিকে টপকাতে না পারলেও।
হুশ করে আকাশে উঠেই ঝুপ করে মাটিতে নেমে পড়া যাবে। চোখের পলক পড়তে না-পড়তেই।
না, সেটা কোনও দুর্ঘটনা নয়। আদ্যোপান্ত একটা সুখের যাত্রা।
‘হুশ’ করে ওঠা আর ‘ঝুপ’ করে নামার মধ্যে সময়ের ফারাকটা মেরে-কেটে ১১ মিনিট! মানে, ৬৬০ সেকেন্ড! মানে, বাতাসে শব্দের চেয়ে অনেক গুণ বেশি গতিতে। ঘণ্টায় কুড়ি হাজার কিলোমিটারেরও বেশি।
আর সেই যাত্রাটা কোথা থেকে কোথায়, জানেন? লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক।
হার মেনে গেল ‘কনকর্ড’। তার চেয়ে ১২ গুণ বেশি গতিতে লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক পৌঁছে যাবে ‘অ্যান্টিপোড’।
আকাশ-পথে ৫, ৫৭১ কিলোমিটারের এই লম্বা দূরত্বটা পেরতে সময় লাগে এখন প্রায় ছয় ঘণ্টার কাছাকাছি।
আকাশ-পথে লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক।
এমনটাই দাবি করেছেন বিমানের ওই বিশেষ মডেল ‘অ্যান্টিপোড’-এর ভাবনাটা যাঁর, সেই কানাডিয়ান বিমান সংস্থার অন্যতম কর্তা চার্লস বোম্বার্ডিয়ার। মার্চের ২৪ তারিখেই প্রথম বারের জন্য লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক উড়ে যাবে ‘অ্যান্টিপোড’।
নতুন বিমান ‘অ্যান্টিপোড’-এর নানা তথ্য।
বোম্বার্ডিয়ারের দাবি, শব্দকে পকেটে পুরে ছোটা ওই যাত্রীবাহী বিমান ‘অ্যান্টিপোড’ নিউ ইয়র্ক থেকে প্যারিসের পাঁচ হাজার সাড়ে আটশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে ১২ মিনিটে। সিডনিতে পৌঁছবে ৩২ মিনিটে। টোকিও পৌঁছতে সময় নেবে ২২ মিনিট, নিউ ইয়র্ক থেকে প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে। তবে নতুন বিমানটি ওই ভয়ঙ্কর গতিতে ছুটতে পারবে মাত্র দশ জন যাত্রী নিয়ে। ওই বিমানের দু’টি ডানায় থাকছে রকেট বুস্টার ইঞ্জিন। বিমানটি সর্বাধিক ৪০ হাজার ফুট উচ্চতা দিয়ে উড়ে যেতে পারবে। এর ফলে, যাতে বিমানটি অসম্ভব তেতে না যায়, সে জন্য নাসার বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যাতে নাক (নোজ) দিয়ে বাতাসে গরম হাওয়া ছাড়তে ছাড়তে উড়ে যাবে বিমানটি। বিমানটি বানাতে খরচ হয়েছে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy