মর্মান্তিক: ইনস্টাগ্রামে এই পোস্ট দেওয়ার পরেই মারা যায় মালাচি হেমফিল।
হাতে বন্দুক নিয়ে নানা ভাবে ‘পোজ’ দিচ্ছিল বছর তেরোর কিশোরটি। বন্দুক নিয়ে খুটখাট করতে করতেই প্রচণ্ড শব্দ। আচমকা গুলি গিয়ে লাগল তার কপালে। ইনস্টাগ্রামে এই দৃশ্য ‘লাইভ’ দেখল তার বন্ধুরা।
পুলিশ জানায়, মৃত ওই কিশোরের নাম মালাচি হেমফিল। পরিবারের সঙ্গে জর্জিয়ার আটলান্টায় থাকত সে। আত্মহত্যা নয়, বন্দুক নিয়ে খেলতে গিয়েই ভুল করে ওই কিশোর তা চালিয়ে ফেলেছে বলে পুলিশের অনুমান।
ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন মালাচির মা শানিকা স্টিফেন্স এবং বোন। গুলির আওয়াজ শুনেই তাঁরা মালাচির ঘরে ছুটে যান। তবে তার ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। বার বার দরজায় ধাক্কা মেরেও ছেলের কোনও সাড়া না পেয়ে পড়শিদের ডেকে আনেন শানিকা। ঘরের দরজা ভাঙলে দেখা যায়, মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তার মধ্যে পড়ে রয়েছে ছেলে। পুলিশে খবর দিলে তারা এসে মালাচির দেহ ময়না-তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। যে বন্দুকের গুলিতে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে, তা-ও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
ছেলে যে নেই, মানতে পারছেন না শানিকা। তিনি বলেন, ‘‘আবর্জনা ফেলে এসে মালাচিকে নিজের ঘরে ঢুকতে দেখেছিলাম। তার পরেই এই ঘটনা। ১০ মিনিটে সব শেষ হয়ে গেল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ঘরে ঢুকে দেখি ছেলের ফোনে তখনও ইনস্টাগ্রামে তখনও লাইভ ভিডিও চলছে। সেটা সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিই।’’ সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে এখনকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে যে উন্মাদনা, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন:বঙ্গ জয়ে পঞ্চায়েতই নিশানা বিজেপির
ঘটনার কিছু পরেই মালাচির বাড়িতে পৌঁছে যায় তার ৪০-৫০ জন বন্ধু। সকলেই ইনস্টাগ্রাম লাইভে ওই ভয়াবহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। পুলিশ তাদের কয়েক জনকে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এত কম দূরত্ব থেকে গুলি লাগায় মাথা এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে গিয়েছিল মালাচির। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, লাইভ ভিডিও চলাকালীন বন্ধুদের কেউ এক জন মালাচিকে বন্দুকে নলে ক্লিপ লাগাতে বলে। পুলিশের অনুমান, তা করতে গিয়েই গুলি চলেছে। কিন্তু কে ওই মন্তব্য করেছিল, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। শানিকাকে প্রশ্ন করেও এর কোনও সূত্র মেলেনি। কারণ, মালাচি যে আইডি থেকে ইনস্টাগ্রাম করত, তা পরিবারের কেউ জানেন না। ফলে, এখনও পর্যন্ত তার অ্যাকাউন্টটি খোলা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy