মধ্যমণি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী ত্রুদো এবং তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে মালালা। ওটাওয়ায়। রয়টার্স
সম্মানের মুকুটে নতুন পালক।
এ বার শান্তির জন্য নোবেলজয়ী ১৯ বছরের মালালা ইউসুফজাইকে সাম্মনিক নাগরিকত্ব দিল কানাডা। আর এই সম্মান নিতে মঞ্চে উঠে সে দেশেরই প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ত্রুদোকে নিয়ে রসিকতা করে তিনি মন জিতে নিলেন কানাডাবাসীর।
বুধবার মালালা মঞ্চে পা রাখতেই উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে অভিবাদন জানান পার্লামেন্টের সদস্যরা। এ দিন পাক কন্যা বলেন, ‘‘কানাডার নাগরিকত্ব পেয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। পাকিস্তানের নাগরিক হিসেবে আমি সব সময়ই নিজেকে ধন্য মনে করি। পাশাপাশি, আপনাদের দেশেরও নাগরিকত্ব পেয়ে আমি সম্মানিত।’’
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ত্রুদোকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে তাঁর উল্কি নিয়ে একচোট ঠাট্টাও করলেন মালালা। তিনি বলেন, ‘‘কানাডার ইতিহাসে উনি দ্বিতীয় কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। উনি যোগা করেন। আবার ওঁর হাতে উল্কিও আছে। সবাই তাই ওনার সঙ্গে দেখা করার জন্য মুখিয়ে থাকেন।’’ তাঁর রসিকতায় হাসির হুল্লোড় ওঠে দর্শকদের আসন থেকে। গুরুগম্ভীর পরিবেশ এক লহমায় হাল্কা হয়ে যায়। এ দিন মালালার হাতে একটি শংসাপত্র ও কানাডার পতাকা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে শুধুমাত্র রসিকতাই নয়, এ দিন তাঁর বক্তৃতায় তরুণ রাষ্ট্রনেতার প্রশংসাও শোনা যায় যথেষ্ট। তাঁর মতে, নারীশিক্ষা, শরণার্থী সমস্যা বা মেয়েদের শিক্ষার মতো বিষয়গুলিতে কানাডা যে ভাবে গুরুত্ব দিয়েছে তা উল্লেখযোগ্য। মালালা এও বলেন, ‘‘মেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে কানাডা যে পরিমাণ সচেতন তার জন্য অবশ্যই সাধুবাদ প্রাপ্য দেশের প্রধানমন্ত্রীর।’’ সারা বিশ্বের শিশুদের প্রতি নোবেলজয়ীর বার্তা, তারাও চেষ্টা করলে এক দিন ত্রুদোর মতো তরুণ নেতা হতে পারবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy