Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
International News

সাড়ে ৫ বছর পর সেই সোয়াটেই ফিরলেন মালালা

সেই সোয়াটেই ৬ বছর পর পা দিয়ে তাঁর কেমন লাগছে, জানতে চাওয়া হলে এ দিন মালালা সাংবাদিকদের বলন, ‘‘আমি চোখ বুঁজে (পড়ুন, সংজ্ঞাহীন অবস্থায়) সোয়াট ছেড়েছিলাম। আর সেই সোয়াটকেই দেখতে এলাম ৬ বছর পর।’’

মালালা ইউসুফজাই।- ফাইল চিত্র।

মালালা ইউসুফজাই।- ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
মিঙ্গোরা (পাকিস্তান) শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৮ ১৫:৪১
Share: Save:

প্রায় সাড়ে ৫ বছর আগে তালিবানরা তাঁকে যেখানে গুলি করে খুনের চেষ্টা করেছিল, পাকিস্তানের সেই সোয়াট উপত্যকায় শনিবার পা দিলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী মালালা ইউসুফজাই

সোয়াট উপত্যকা বরাবরই পাকিস্তানে জঙ্গিদের ‘স্বর্গরাজ্য’ বলে পরিচিত। ২০১২ সালে এই সোয়াট উপত্যকাতেই মালালাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তালিবান জঙ্গিরা। একটি গুলি লাগে মালালার মাথায়। কোমায় চলে গিয়েছিলেন মালালা। তাঁকে বাঁচানোর জন্য তড়িঘড়ি বিমানে চাপিয়ে সোয়াট থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ইসলামাবাদে। সেনা হাসপাতালে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য। তার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বার্মিংহামে, একটি হাসপাতালে ভর্তি করাতে।

সেই সোয়াটেই এত দিন পর পা দিয়ে তাঁর কেমন লাগছে, জানতে চাওয়া হলে এ দিন মালালা সাংবাদিকদের বলন, ‘‘আমি চোখ বুজে (পড়ুন, সংজ্ঞাহীন অবস্থায়) সোয়াট ছেড়েছিলাম। আর সেই সোয়াটকেই দেখতে এলাম ৬ বছর পর।’’

এক সময়ের উপদ্রুত সোয়াটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখে তিনি খুশি বলেও জানিয়েছেন মালালা।

সোয়াট জেলার প্রধান শহর মিঙ্গোরায় একটি স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে মালালা বলেন, ‘‘আমি খুব খুশি। আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। আমার ভাই, বোনদের আত্মত্যাগের ফলে সোয়াটে শান্তি ফিরে এসেছে।’’

আরও পড়ুন- পাকিস্তানেই থাকতে চান মালালা

আরও পড়ুন- ভিসা চাই! দিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার খুঁটিনাটি​

এ দিন মালালা সোয়াটে যান পাক সেনাবাহিনীর পাহারায়। ইসলামাবাদ থেকে পাক সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে মা, বাবা, দুই ভাইকে নিয়ে ২০ বছর বয়সী নোবেল পুরস্কার জয়ী মালালা পৌঁছন সোয়াটে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মিঙ্গোরা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে গুলি বাগে সেনাবাহিনীর সোয়াট ক্যাডেট কলেজে।

এই মিঙ্গোরাতেই তাঁর মা, বাবা ও ভাই, বোনদের নিয়ে থাকতেন মালালা। পড়তেন স্থানীয় একটি স্কুলে। ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর স্কুলে যাওয়ার পথেই আক্রান্ত হন মালালা। তালিবান জঙ্গিরা তাঁর স্কুল-বাসে উঠে বন্দুক উঁচিয়ে জানতে চায়, ‘‘এখানে মালালা কে আছে?’’ মালালাকে চিনতে পারার পরেই তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তালিবান জঙ্গিরা।

মানবাধিকার রক্ষার লড়াইয়ে তাঁর অবদানের জন্য ২০১৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান মালালা। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৭ বছর।

অধুনা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মালালা তাঁর শৈশবের শহর সোয়াট ঘুরে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন দিনকয়েক আগে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE