এই ছবি তোলার কয়েক মিনিট পরই গুলি করা হয়েছে জাগুয়ারটিকে।
ম্যাসকটকেই খুন করে ফেলল অলিম্পিক!
মশাল আর ম্যাসকটকে এক ফ্রেমে রেখে ছবি তোলা হচ্ছিল। বেঁধে রাখা পশু চেইন থেকে নিজেকে মুক্ত করতেই তাকে গুলি করে মারল ব্রাজিলের সেনা।
সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিশ্ব জুড়ে। অলিম্পিক আয়োজক কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছে। তবে থামছে না বিতর্ক।
এ বারের অলিম্পিক গেমস আয়োজিত হচ্ছে ব্রাজিলের রিও-ডি-জেনেইরোতে। সেখানেই ফোটোশ্যুট চলছিল একটি জাগুয়ারকে নিয়ে। রিও অলিম্পিকসের ম্যাসকট হল জাগুয়ার। অলিম্পিকের মশালের পাশে জাগুয়ারটিকে বসিয়ে ছবি তোলা হচ্ছিল ব্রাজিলেরই মানাউস শহরের একটি চিড়িয়াখানায়। সেনা ছাউনির পাশেই ওই চিড়িয়াখানাটির অবস্থান। সেনাকর্মীদেরই কাজে লাগানো হয়েছিল ফোটোশ্যুট নির্বিঘ্নে সারতে। চিড়িয়াখানার একটি জাগুয়ারকে খাঁচা থেকে বাইরে এনে চেইন দিয়ে বেঁধে বসানো হয়েছিল মশালের পাশে। সব দিক থেকে জাগুয়ারটিকে ঘিরে রেখেছিলেন জওয়ানরা। মশালের পাশে বসিয়ে ছবি তোলা শুরু হতেই হঠাৎ জাগুয়ারটির মেজাজ বিগড়ে যায়। ফাঁস খুলে দৌড়তে শুরু করে সেটি। ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়েও তাকে কাবু করা যায়নি। বর এক সেনা জওয়ানের দিকেই এগোতে থাকে সে। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সেই জওয়ান গুলি করেন জাগুয়ারটিকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রিও অলিম্পিকসের ম্যাসকটের।
ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছে অলিম্পিক আয়োজক কমিটি। একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘‘শান্তি এবং সম্প্রীতির প্রতীক যে অলিম্পিক মশাল, তার পাশে একটি শৃঙ্খলিত পশুকে বসিয়ে ছবি তোলার অনুমতি দিয়ে আমরা ভুল করেছি। এই ছবি আমাদের বিশ্বাস এবং আমাদের মূল্যবোধের বিপক্ষে যায়। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, রিও-২০১৬-তে এমন ঘটনা আর এক বারও ঘটবে না।’’
আরও পড়ুন: ভেসে থাকা বরফখণ্ডের উপরে বসে পিয়ানো বাজাচ্ছেন! দেখুন ভিডিও
এই ক্ষমাপ্রার্থনা অবশ্য বিতর্ক থামাতে পারছে না। অলিম্পিকস আয়োজন সংক্রান্ত কাজের জন্য ম্যাসকটকেই প্রাণ দিতে হয়েছে, এমন ঘটনার নজির নেই। দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর ক্ষমা চেয়ে লাভ কী, প্রশ্ন তুলেছেন পশুপ্রেমীরা। অলিম্পিক গেমসের মতো সর্বোচ্চ ক্রীড়ামঞ্চের আয়োজকরা আদৌ অলিম্পিকসের নীতি-আদর্শ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তো? প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy