জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার। —ফাইল চিত্র
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আগে মাসুদ আজহারকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসী’ বলল আমেরিকা। জইশ-ই-মহম্মদ প্রধানকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসী’ ঘোষণার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে এবং আজহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া ভারতীয় উপমহাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে বিপজ্জনক, মন্তব্য হোয়াইট হাউসের। আজ বুধবারই মাসুদ আজহার এবং জইশ নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক। তার আগে আমেরিকার এই ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ভারত। তবে চিনকে নিয়ে সন্দেহ থাকছেই। তাই ভারত নতুন করে রাষ্ট্রপুঞ্জে তথ্যপ্রমাণ দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার রুটিন সাংবাদিক বৈঠকে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবার্ট পালাডিনো বলেন, মাসুদ আজহার জইশ-ই মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা এবং শীর্ষ নেতা। তাই সে বিশ্ব সন্ত্রাসী ঘোষণার যোগ্য।’’ চিনের প্রসঙ্গে পালাডিনোর মন্তব্য, ‘‘আমেরিকা এবং চিন শান্তি ও স্থিরতার জন্য পারস্পারিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে কাজ করে। তাই আজহারকে বিশ্ব সন্ত্রাসী ঘোষণা না করলে, সেই উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।’’
আমেরিকার এই ঘোষণা অবশ্য এই প্রথম নয়। এমনকি, নিরাপত্তা পরিষদেও এ নিয়ে আলোচনা-বৈঠক হয়েছে। কিন্তু বরাবরই ভেটো দিয়ে এসেছে চিন। ইসলামাবাদের ‘মিত্র’ বেজিং-এর বরাবরের বক্তব্য, মাসুদ আজহারকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসী’ ঘোষণার মতো উপযুক্ত প্রমাণ নেই। এ বারও যে চিনা ড্রাগনরা সেই প্রচেষ্টা জারি রাখবে, তার ইঙ্গিত আগে থেকেই দিয়ে রেখেছে। তবে এ বার অবস্থান সামান্য পাল্টে বেজিংয়ের যুক্তি, জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে মাসুদ আজহারের সরাসরি যুক্ত থাকার প্রমাণ নেই।
লোকসভা ভোটের সব খবর জানতে ক্লিক করুন
আরও পডু়ন: অভিনন্দনের ছবি দিয়ে ভোটের প্রচার, ফেসবুককে মুছে দিতে নির্দেশ কমিশনের
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, চিনের এই যুক্তির পরই নতুন করে তথ্য প্রমাণ দিয়েছে ভারত। পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার পর পরিস্থিতি অনেক পাল্টেছে। এই আত্মঘাতী জঙ্গি হানার মাস্টারমাইন্ড যে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারই তার একাধিক প্রমাণ ভারতে এসেছে। সেই সব তথ্যপ্রমাণের সঙ্গে জইশ শীর্ষনেতা হিসেবে আজহারের যে সব অডিয়ো টেপ ভারতের হাতে এসেছে, প্রচুর নথিপত্রের সঙ্গে সেই টেপও নিরাপত্তা পরিষদে প্রমাণ হিসেবে দিয়েছে নয়াদিল্লি।
ভারতে সংসদে হামলা, পাঠানকোট বায়ুসেনার ঘাঁটি এবং উরি ও জম্মুর সেনা ক্যাম্পে হামলার অন্যতম মাস্টার মাইন্ড মাসুদ আজহার। তার সঙ্গে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হানা। ভারতে আজহারের এই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের প্রমাণ আগেও বহুবার রাষ্ট্রপুঞ্জে জমা দিয়েছে ভারত। তার প্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য তিন দেশ আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স আজহারকে বিশ্ব সন্ত্রাসী ঘোষণার জন্য প্রস্তাব এনেছে।
আরও পড়ুন: তিনি প্রার্থী, শুনেই কেঁদে ফেললেন রূপালী
অন্য দিকে নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো প্রদানের ক্ষমতাধর পাঁচটি দেশের মধ্যে অন্যতম চিন। সেই সুযোগ নিয়েই বার বার এই প্রক্রিয়ায় বাধা দিয়ে এসেছে বেজিং। কিন্তু পুলওয়ামার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জঙ্গি দমনে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলায় চিনের অবস্থান কিছুটা হলেও পাল্টেছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। আর সেখানেই আশার আলো দেখছে নয়াদিল্লি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy