পুরনো-নতুন: রাউল কাস্ত্রো ও মিগেল ডিয়াজ কানাল। ছবি; এএফপি।
ছ’দশকের কাস্ত্রো যুগের অবসান। বিপ্লব পরবর্তী কিউবায় এই প্রথম প্রেসিডেন্টের গদিতে বসতে চলেছেন এক জন, যাঁর নামের পিছনের নেই কাস্ত্রো পদবি।
মিগেল ডিয়াজ কানাল। সাতান্ন বছরের এই কমিউনিস্ট নেতার হাতেই দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন রাউল কাস্ত্রো। তবে ৮৬ বছরের রাউলই থাকবেন দেশের কমিউনিস্ট পার্টির সর্বোচ্চ নেতা। নতুন প্রেসিডেন্টের সব কাজকর্মও নজরে রাখবেন তিনি।
মিগেলকে নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছিল কালই। আজ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৬০৫ জন প্রতিনিধি আনুষ্ঠানিক ভাবে বেছে নেন তাঁর নাম। আগামী কালই ৫৮–তে পা রাখতে চলেছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। রুপোলি চুলের সুদর্শন মিগেলকে অনেকেই কিউবার রিচার্ড গেয়ার বলে থাকেন। জিনস পরতে ভালবাসেন। বিটলসের গানে প্রবল আসক্তি। কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির বাকি নেতাদের থেকে মিগেল বরাবরই স্বতন্ত্র। ২০১৩ সাল থেকে দেশের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ সামলে এসেছেন মিগেল। কমিউনিস্ট পার্টিরও শীর্ষ পদ সামলেছেন বহু দিন ধরে।
তবে কিউবার সংবাদমাধ্যমের একাংশ অবশ্য বলছে, আপাতত প্রচুর চ্যালেঞ্জ নতুন প্রেসিডেন্টের সামনে। ইন্টারনেটের অবাধ ব্যবহার আর সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় আপত্তি আছে তাঁর। কাস্ত্রোর আমল থেকে ছোটখাটো বেসরকারি সংস্থার বিনিয়োগের জন্য দরজা খুলেছিল কিউবা। নতুন প্রেসিডেন্ট সেই পরিবর্তিত অর্থনীতি কী ভাবে সামলান, দেখতে চায় দেশের নতুন প্রজন্ম। সেই সঙ্গে রয়েছে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের দিকটিও। ওবামা জমানার শেষের দিকে দীর্ঘ শীতলতা কাটিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক শোধরাতে শুরু করেছিল একটু একটু করে। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে সম্পর্ক শোধরানোর সেই প্রক্রিয়াটা বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। সঙ্গে আছে রহস্য-রোগ আর শব্দ-হামলার অভিযোগ। কিউবার বিদেশি কূটনীতিকদের একাংশ দু’বছর ধরে অদ্ভুূত রোগে আক্রান্ত। এই মুহূর্তে ২৪ জন মার্কিন এবং কানাডার ১০ জন এতে ভুগছেন। গোয়েন্দাদের মতে, এর পিছনে আছে শব্দ-হামলা! আমেরিকা লোক পাঠানো অর্ধেক করে দিয়েছে। কূটনীতিকদের পরিবারকে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy