এই সেই ভয়ঙ্কর খুনি।
কয়েকদিন আগেই মার্কিন মুলুক তোলপাড় হয়েছিল ‘ভয়ঙ্করতম’ খুনি স্যামুয়েল লিটলকে নিয়ে। ড্রাগ পাচারের পাশাপাশি তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ৯০ জনকে খুন করবার জন্য যাবজ্জীবন কারাদন্ড পায় সে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তার শিকারের মধ্যে ছিল কমবয়সী মেয়েরা। এবার আবার এক ‘সিরিয়াল কিলার’ চমকে দিল বিশ্বকে। ইনি রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলের প্রাক্তন পুলিশকর্তা ৫৩ বছর বয়সী মিখাইল পপকভ। যদিও ১৯৯৮ সালে পুলিশ বাহিনী ত্যাগ করেন পপকভ।
গত কয়েক দশকের মধ্যে রাশিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ সিরিয়াল কিলার বলা হচ্ছে পপকভকে। ১৯৯২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ৭৭ জন মহিলা ও ১ জন পুলিশকে হত্যা করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। ২০১৫ সালে ২২ জনকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয় পপকভকে। পরে জানা যায় আরও অন্তত ৫৬ জনকে হত্যা করেছেন তিনি।
মহিলাদের সাহায্য করবার নামে তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে খুন, এই ছিল পপকভের খুন করার পদ্ধতি। গভীর রাতে মহিলাদের গাড়িতে করে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তাদের হত্যা করতেন পপকভ।
আরও পড়ুন: চার দশকে ৯০ খুন! ভয়ঙ্করতম এই খুনিকে নিয়েই তোলপাড় আমেরিকা
পপকভের হাতে নিহত নারীদের বয়স ছিল ১৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। ঐ নারীদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে হত্যার আগে তিনি ধর্ষণ করেছেন বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। খুন করবার পর শিকারদের দেহ খন্ড-বিখন্ড করে আশেপাশের জঙ্গলে, রাস্তার পাশে বা স্থানীয় একটি সমাধিস্থলে ফেলে দিত সে।
আরও পড়ুন: বাড়িতে আগুন লাগার পর এই ‘প্রভুভক্ত’ কুকুর যা করল দেখলে চমকে যাবেন
খুন করবার সময় তিনটি ঘটনায় পুলিশের গাড়ি ব্যবহার করে ছিল পপকভ। ২০১২ সালে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ তাকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। তারপরেই হেফাজতে নেওয়া হয় তাকে।
পুলিশ ও আইনজীবিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে খুন করবার সময় এক বিকৃত আনন্দ পেত পপকভ। সেটাই একের পর এক খুন করতে প্ররোচনা দিত তাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy