গারিসা ইউনিভার্সিটি কলেজের সেই ছাত্রাবাসের যত্রতত্র এখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে চাপ চাপ রক্ত। কোথাও কোথাও পড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নিথর দেহ। কাল ভোরে আল শাবাবের হামলার চিহ্ন আজ সকালেও গোটা ছাত্রাবাস চত্বরে ভীষণ ভাবে স্পষ্ট। পুলিশ জানিয়েছে, বেশির ভাগ পড়ুয়াকেই মাথার পিছনে গুলি করে মেরেছে জঙ্গিরা। এক অফিসারের কথায়, ‘‘ওদের (পড়ুয়াদের) সকলেরই মাথা নিচু ছিল। যেন আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে বসে রয়েছে সকলে। সেই অবস্থাতেই মাথার পিছনে গুলি করা হয়েছে।’’
কাল দিনভর লড়াই করে ছাত্রাবাস জঙ্গিমুক্ত করা সম্ভব হলেও কেনিয়ায় কাল থেকেই জমা হচ্ছিল ক্ষোভ। আজ তা আরও বড় আকার নিয়েছে। জঙ্গি তাণ্ডবে ১৪৭ জন পড়ুয়ার মৃত্যুকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না কেনিয়ার সাধারণ মানুষ। সকলেরই প্রশ্ন, সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিদের আসার আগাম খবর থাকা সত্ত্বেও কেন সতর্ক হয়নি প্রশাসন? কাল রাতেই রীতিমতো বিধ্বস্ত প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়েত্তা দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। মহম্মদ মোহামুদ নামে এক জঙ্গি গোটা কাণ্ডের মূল চক্রী বলে জানিয়েছে পুলিশও। তার ছবি দিয়ে পোস্টার ছাপিয়ে ভরিয়ে ফেলা হচ্ছে কেনিয়া। পোস্টারেই বলা হয়েছে, ওই জঙ্গিকে ধরতে পারলে দেড় লক্ষ পাউন্ড নগদ পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে।
কিন্তু এত সব করেও দেশের মানুষের ক্ষোভ কমানো যাচ্ছে না। সোমালিয়ার সীমান্তে নজরদারি কেন বাড়ানো হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এই নজরদারির অভাবের সুযোগ নিয়ে আল শাবাব এর আগেও কেনিয়ায় বড়সড় হামলা চালিয়েছে। আজ সকালে গারিসা থেকে নাইরোবি আনা হয়েছে অনেক পড়ুয়ার দেহ। সেখানেই শনাক্তকরণের কাজ হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy