Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

পাকিস্তান সফরে সৌদি যুবরাজ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে তাঁর দেখা করার কথা রয়েছে।

সৌদি রাজা-যুবরাজ ও পাক প্রধানমন্ত্রীর ছবি ইসলামাবাদের রাস্তায়। ছবি: এপি।

সৌদি রাজা-যুবরাজ ও পাক প্রধানমন্ত্রীর ছবি ইসলামাবাদের রাস্তায়। ছবি: এপি।

সংবাদ সংস্থা
ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৪৬
Share: Save:

দক্ষিণ এশিয়া আর চিন সফর আজ থেকে শুরু করেছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। প্রথমে তিনি পা রাখছেন পাকিস্তানে। তবে গত বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর হানায় ভারতের ৪৯ জন জওয়ান নিহত হওয়ার ঘটনায় নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদের সম্পর্কে টানাপড়েন আরও তীব্র হয়েছে। তাই পাক প্রশাসনের অন্দরেই চিন্তা ছিল, হয়তো বা ওই কারণে সফর বাতিল করে দেবেন সৌদি যুবরাজ। শেষ পর্যন্ত পাক সরকারকে স্বস্তি দিয়ে মহম্মদ বিন সলমন জানিয়েছেন, তিনি রবিবার সফরে আসছেন। পাকিস্তানের পরে ভারতেও আসার কথা মহম্মদ বিন সলমনের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে তাঁর দেখা করার কথা রয়েছে।

গত শুক্রবার সৌদি আরব প্রশাসন জানিয়েছিল, সন্ত্রাসবাদ এবং উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের পাশে আছে তারা। জইশের হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যাও দিয়েছিল সৌদি সরকার। তার পরেও অবশ্য পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আমন্ত্রণে সৌদি যুবরাজ হাজির পাকিস্তানে। লাল কার্পেটে অভ্যর্থনা দেওয়া হয় তাঁকে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তাঁকে দেওয়া হয় গার্ড অব অনার-ও। রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটিতে নেমেছেন তিনি। পাক প্রধানমন্ত্রী নিজে তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। সৌদি যুবরাজের এটাই প্রথম পাকিস্তান সফর। যুবরাজ পাক প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও দেখা করবেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এবং সেনাপ্রধান কমর জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে চুক্তি সই করবেন তাঁরা। পাক প্রশাসনিক অফিসারদের দাবি, বিনিয়োগ সংক্রান্ত আটটি চুক্তি হবে সৌদি আরবের সঙ্গে।

আর্থিক দিক থেকে ভয়ঙ্কর সঙ্কটে থাকা এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রায় একঘরে পাকিস্তানের কাছে এখন সৌদি আরবের মতো মিত্র দেশকে পাশে রাখা গুরুত্বপূর্ণ বলে মত বিশ্লেষকদের। সৌদি আরব গত কয়েক মাস ধরেই অর্থ-সাহায্য দিয়ে আসছে পাকিস্তানকে। তাদের কাছ থেকে ৬০০ কোটি ডলার ঋণ পেয়ে পাক সরকার এখন কিছুটা স্বস্তিতে।

২০১৫ সালে চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং পাকিস্তানে এসেছিলেন। তার পরেই এখানে তিনি ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ (ওবর) প্রকল্পে কয়েকশো কোটি ডলার বিনিয়োগ করার কথা জানিয়েছিলেন। তার তিন বছর পরে সৌদি যুবরাজের আগমন পাকিস্তানের কাছে যথেষ্ট বড় ঘটনা। এর আগেও বিভিন্ন কঠিন সময়ে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তেল-সমৃদ্ধ সৌদি আরব। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সে দেশের রাজপরিবারের পাশে থেকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেনি।

তাই আজ মহম্মদ বিন সলমনের সফরের আগে যুবরাজ ছাড়াও রাজা সলমনের এবং প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বড় বড় ছবি লাগানো হয়েছে ইসলামাবাদের কনস্টিটিউশন অ্যাভিনিউয়ে। ওই রাস্তায় রয়েছে পাক-সৌদি বন্ধুত্ব নিয়ে নানা স্লোগানে লেখা বহু ব্যানার। যুবরাজের ১২০ ফুট লম্বা এবং ৪৫ ফুট চওড়া ছবি লাগানো হয়েছে পার্লামেন্ট ভবনে!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE