যাত্রা: কেনেডি স্পেস সেন্টার ফ্যালকন-এর উৎক্ষেপণ। ছবি:রয়টার্স
‘তারামানব’কে সঙ্গে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিল বিশ্বের সব চেয়ে শক্তিশালী রকেট, ‘ফ্যালকন হেভি’।
তবে গোটা কর্মকাণ্ডে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা নেই, রয়েছে আমেরিকারই একটি বেসরকারি সংস্থা ‘স্পেসএক্স’। উল্লেখযোগ্য, এই প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে মহাকাশ অভিযান।
ফ্যালকন-এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ দেখতে মঙ্গলবার কেনেডি স্পেস সেন্টারে ভিড় করেছিলেন হাজার খানেক উৎসাহী মানুষ। বিশেষ কৌতূহল ছিল অবশ্যই তারামানব অর্থাৎ কি না ‘স্টারম্যান’-এর জন্য। সংস্থার চেয়ারম্যান এলন মাস্কের চেরি লাল টেসলা রোডস্টারে চেপে একাই রওনা দিল স্পেসস্যুট পরিহিত নকল মহাকাশযাত্রীটি। তবে এখনই তাকে বিদায় জানানোর সময় আসেনি। টেসলা রোডস্টার থেকে ওয়েবকাস্টের মাধ্যমে পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে তার। ফ্যালকনে চেপে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছে যাবে বৈদ্যুতিক গাড়িটি। সেখান থেকে সৌর জগতের আরও গভীরে, সোজা মঙ্গলের দিকে।
মাস্ক জানিয়েছেন, তাঁর টেসলা রোডস্টার থেকে মহাকাশে ভেসে যাবে প্রয়াত গায়ক ডেভিড বাউয়ির গান ‘‘লাইফ অন মার্স’’। মহাকাশযাত্রীটির নাম ‘স্টারম্যান’ রাখা হয়েছে বাউয়িরই অন্য একটি গান থেকে। তারামানবের ডান হাত থাকবে স্টিয়াংরিংয়ে, আর বাঁ হাত এলিয়ে থাকবে গাড়ির দরজায়।
আরও পড়ুন: মিত্র দিল্লি, মার্কিন বার্তা বেজিংকে
অন্তত ১৮৭৪৭টি জেট বিমানের গতিতে গত কাল মাটি ছেড়েছে ফ্যালকন। রাতারাতি পাহাড়-প্রমাণ ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। ২৭টি ইঞ্জিনের এই মহাকাশযানটি বানানো হয়েছে সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে। ওই সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে পেন্টাগনকে সাহায্য করবে তারা। সেই সঙ্গে নাসার কর্মযজ্ঞেও অংশ নেবে। পৃথিবীর কক্ষপথে ১ লক্ষ ৪০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত পাঠাতে সক্ষম মহাকাশযানটি। তবে স্পেসএক্সের আসল লক্ষ্য লালগ্রহ। তাদের দাবি, মঙ্গলে ৪০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত পে-লোড নিয়ে যেতে সক্ষম তাদের মহাকাশযান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy