শাবককে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে মা।
জল কেটে এগিয়ে চলেছে প্রাণীটি। পিঠে তার ছোট্ট শাবক। ছবিটি দিন কয়েক ধরে দেখার পরই সন্দেহ হয় উপকূলে নজরদারিতে থাকা কর্মীদের। ভাল করে ডলফিনটিকে পর্যবেক্ষণ করার পরই সামনে আসে আসল ঘটনা। জানা যান, শাবকটি মারা গিয়েছে। কিন্তু, তাকে মুহূর্তের জন্য কাছ ছাড়া করেনি মা ডলফিন।
ডলফিন বিশেষজ্ঞরা জানান, জন্মের কিছু পরেই মারা গিয়েছিল শাবকটি। কিন্তু, সেই ‘শোক’ মেনে নিতে পারেনি মা ডলফিনটি। তাই শাবকটিকে ছাড়তে চায়নি সে। দিনের পর দিন আঁকড়ে ধরে সমুদ্রের বুকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় মা ডলফিনটিকে।
মর্মস্পর্শী সেই ছবি রীতিমতো ভাইরাল। গত মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ড উপকূলের এই ছবিটি ধরা পড়ে। নিউজিল্যান্ডের সংরক্ষণ বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, সম্ভবত বোটের ধাক্কায় মৃত্যু হয় ডলফিন শাবকটির।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে যাত্রীর ব্যাগে চিতাবাঘের বাচ্চা, তৎপরতা কর্মীদের
এই ঘটনার পরই উপকূলে বোট চলাচলের উপর সতর্কতা জারি করেছে। ডলফিনদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাম্পির ঐতিহাসিক স্তম্ভ ভেঙে দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা! ভিডিয়ো ঘিরে বিতর্কের ঝড়
ডলফিন বিশেষজ্ঞরা জানান, এই প্রাণীর অনেক স্বভাবই মানুষের মতো। উত্তর-পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় এক দশক ধরে গবেষণা চালিয়ে ‘ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া’ (ইউডব্লিউএ)-র বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন প্রেমিকাকে উপহার দেওয়ার চল রয়েছে গভীর সমুদ্রের এই বাসিন্দাদের মধ্যেও। এ বার নিউজিল্যান্ডের ঘটনা ফের এক বার প্রমাণ করল তাদের স্বভাবের আর একটি দিক।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy