সিঙ্গাপুর সফরে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে বৈঠকটি।—ছবি এএফপি।
প্রধানমন্ত্রিত্বের চলতি মেয়াদের শেষ পর্বে এসে তাঁর স্বপ্নের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’-নীতি রূপায়ণ খতিয়ে দেখতে বুধবার দু’দিনের সফরে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে বৈঠকই নয়, ওই মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও সারবেন তিনি। তার মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে বৈঠকটি। এ ছাড়া ভারত ও প্রশান্ত মহসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য তৈরি চার দেশের (ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান) অক্ষের বৈঠকও হবে সিঙ্গাপুরে।
সব মিলিয়ে উনিশে ভোটের আগে এ’টি তাঁর সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিদেশ সফর হয়ে দাঁড়াতে চলেছে। মাত্র ৩৬ ঘণ্টার সফরে কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক— মোদী সব দিকই ছুঁয়ে যাবেন এই সফরে। ইরান থেকে তেল আমদানির প্রশ্নে ভারতকে সদ্য ছাড় দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। চাবাহার বন্দর ব্যবহার নিয়েও আমেরিকা তাদের নিষেধাজ্ঞা আপাতত তুলে নিয়েছে। তবে পাশাপাশি এই আশঙ্কাও রয়েছে, কিছু দিনের মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা ফের বলবত করতে পারে আমেরিকা। সে জন্যই পেন্সের সঙ্গে বৈঠকটি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।
চিনকে চাপে রাখতে গত বছর নভেম্বর মাসে তৈরি হয়েছিল চার দেশের অক্ষ। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক প্রশ্নে একজোট হওয়াই ছিল লক্ষ্য। সমুদ্রপথে অবাধ বাণিজ্যের কৌশল তৈরির লক্ষ্যে এর আগে সিঙ্গাপুরে জুন মাসে বসেছিল এই চর্তুদেশীয় বৈঠক। আজ বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষে চিনের নাম না করে থেকে বলা হয়েছে, ‘এই সমুদ্র অঞ্চলে আন্তর্জাতিক আইন যাতে বলবত থাকে, তা নিয়ে বিভিন্ন দেশ কী মনে করছে এবং কী ভাবে এগোতে চাইছে তা আলোচনা হবে বৈঠকে।’ ভারতের বরাবরের আশঙ্কা, বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিগুলির উপর নজরদারি এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দখলদারি রাখতে মরিয়া বেজিং। আর সেই উদ্বেগের জায়গা থেকেই প্রথমে আমেরিকা এবং তার পরে জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার হাত ধরেছিল দিল্লি।
আরও পড়ুন: আয়ত্তে আসেনি আগুন, দাবানলে মৃত বেড়ে ২৯
আরও পড়ুন: অকাল ভোটের বিরোধিতায় কোর্টে শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন দল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy