প্রতীকী চিত্র।
বুকের ডান দিকে ফোলা জায়গাটা রোজই যেন একটু একটু করে বাড়ছিল। স্ত্রী বারবার বললেও বিশেষ পাত্তা দেননি নিউ ইয়র্ক পুলিশের প্রাক্তন সার্জেন্ট মাইকেল গাই়ডস। তারপর ডাক্তার যে দিন দেখে বললেন ‘স্তন ক্যানসার’, নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারেননি ৬৫ বছর বয়সি মাইকেল।
পুরুষদের স্তন ক্যানসার অত্যন্ত বিরল। কিন্তু গত কয়েক বছরে নিউ ইয়র্কে অন্তত ১৫ জন পুরুষ এই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। এবং তাঁরা সকলেই সতেরো বছর আগে লোয়ার ম্যানহাটন এলাকায় থাকতেন বা কাজ করতেন।
২০০১-এর ১১ সেপ্টেম্বর। ওসামা বিন লাদেনের জঙ্গি বাহিনী গুঁড়িয়ে দিয়েছিল নিউ ইয়র্কের ‘টুইন টাওয়ার’। মারা গিয়েছিলেন প্রায় তিন হাজার মানুষ। বহুতল দু’টি ভেঙে পড়ার পরেও বেশ কয়েক মাস ধরে আগুন জ্বলেছিল বহু বাড়িতে। আর বিষাক্ত বাতাসে ভরে গিয়েছিল এলাকা। সে সময়ে লোয়ার ম্যানহাটন এলাকায় যে সব মানুষ থাকতেন বা কর্মসূত্রে যেতেন, তাঁরা সকলেই কম-বেশি সেই দূষণের শিকার হয়েছিলেন। গত কয়েক বছরে সেই সব মানুষের একটা বড় অংশ ক্যানসার-সহ নানা মারণরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। একটি পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৭ বছরে নিউ ইয়র্ক ও তার আশপাশে ক্যানসার আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় দশ হাজার রোগী ৯/১১-র ঠিক পরবর্তী সময়ে কোনও না কোনও ভাবে টুইন টাওয়ারের আশপাশে ছিলেন।
মাইকেল জানাচ্ছেন, জঙ্গি হামলার পরে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মৃতদেহ বা জখমদের খোঁজার কাজ চালিয়েছিল নিউ ইয়র্ক পুলিশ। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘৯/১১-র ঠিক এক সপ্তাহ পর থেকে আমরা ওই এলাকায় কাজ শুরু করি। তখন সেখানে দূষণ চরমে। বাতাস এত ভারী ও দুর্গন্ধযুক্ত যে আমাদের সব সময়ে চোখ জ্বালা করত। কিন্তু আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে, সেখানে কাজ করা সম্পূর্ণ নিরাপদ। আমাদের কোনও ক্ষতি হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy