ছবি: এপি।
এভারেস্ট অভিযানের মাঝপথেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের। কত বছর আগে কেউ জানেন না। সম্প্রতি এভারেস্টে বর্জ্য পরিষ্কার করতে গিয়ে দেহগুলি নামিয়ে এনেছিল নেপালের একটি সরকারি দল। নাম-পরিচয়হীন সেই চার পর্বতারোহীর দেহ নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছে সরকার।
দু’সপ্তাহ আগে এভারেস্ট থেকে নামানো ১১ টন বর্জ্যের সঙ্গে নামানো হয়েছে এই দেহগুলি। সেই থেকে কাঠমান্ডুর মর্গেই রয়েছে সেগুলি। পুলিশ ও সরকারি কর্তারা স্বীকার করছেন, মৃত ওই পর্বতারোহীদের পরিচয় উদ্ধার করে দেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়াই তাঁদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এভারেস্ট বেসক্যাম্প ও সাউথ কল-এর মধ্যে ৭,৯০৬ মিটার উচ্চতায় দেহগুলি উদ্ধার হয়। পুলিশ জানাচ্ছে, দেহগুলির পরিচয় উদ্ধারে এখন ডিএনএ পরীক্ষাই একমাত্র রাস্তা।
নেপাল পর্বতারোহী সংগঠনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সেরিং শেরপা বলেছেন, ‘‘এটা খুবই কঠিন কাজ। হয়তো কয়েক বছর লেগে যাবে।’’ তাঁর মতে, দেহ নিয়ে আরও বেশি করে তথ্য জানাতে হবে সরকারকে। বিশেষত ঠিক কোথায় দেহগুলি মিলেছে। তা হলে যদি কোনও পর্বতারোহী সংগঠন কোনও দিশা দেখাতে পারে। ১৯২০ সালে এভারেস্ট অভিযান শুরুর লগ্ন থেকে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও কত দেহ যে এভারেস্ট পড়ে রয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। ১৯২৪ সালে এভারেস্ট অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান ব্রিটিশ পর্বতারোহী জর্জ ম্যালোরি। ১৯৯৯ সালে তাঁর দেহটি উদ্ধার হয়। তাঁর সঙ্গী অ্যান্ড্রু ইরভাইনের দেহ এখনও পাওয়াই যায়নি। তাঁরা অভিযান শেষ করতে পেরেছিলেন কি না তা-ও জানা যায়নি। এ ভাবেই এভারেস্টে চিরঘুমে ‘স্লিপিং বিউটি’ ফ্র্যান্সিস আর্সেনটিভ। তিনি প্রথম মার্কিন মহিলা যিনি ১৯৯৮ সালে অক্সিজেন সিলিন্ডার ছাড়া এভারেস্টের শীর্ষে পৌঁছন। নামার সময়ে মৃত্যু হয়। ১৯৯৬ সালে এভারেস্টে গিয়ে মৃত্যু হয় এক ভারতীয় পর্বতারোহীর। তাঁর ‘গ্রিন বুট’ এখনও পথ দেখায় নতুন অভিযাত্রীদের।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy