ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি। দু’জনের দু’টি পথ কি দু’টি দিকে গিয়েছে বেঁকে? ছবি- সংগৃহীত।
চিনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের সেতু গড়ে ফেলার পর কি ভারতকে কিছুটা এড়িয়ে চলতে চাইছে নেপাল?
তেমনই ইঙ্গিত মিলল, ভারত-সহ ‘বিমস্টেক’ জোটের দেশগুলির সঙ্গে যৌথ সেনা মহড়ায় নামতে নেপাল অস্বীকার করায়। আগামী সপ্তাহে ১০ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর, পুণেতে ওই সেনা মহড়ার আয়োজন করছে ভারত। সেটাই হবে ‘বিমস্টেক’ দেশগুলির প্রথম যৌথ সেনা মহড়া। সেই মহড়ায় যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ভারতের প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল নেপাল।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলির মিডিয়া উপদেষ্টা কুন্দন আরিয়াল ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘এটা নেপাল সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’’
‘বিমস্টেক’ বলতে বোঝায়, ‘দ্য বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন’। এতে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশ রয়েছে। তাদের নাম- বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড ও ভূটান।
দিল্লিতে ‘বিমস্টেক’ দেশগুলির সেনাকর্তাদের বৈঠকের পর ওই সেনা মহড়ায় অংশ নেওয়ার জন্য গত জুনে ভারতের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল নেপালকে। কিন্তু তাতে যোগ দেওয়া সম্ভব নয় বলে নেপালের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই সেনা মহড়ায় নেপালের তরফে তিন জনকে পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠানো হচ্ছে।
কূটনীতিকদের একাংশের প্রশ্ন, এর পিছনে কি হাত রয়েছে চিনের?
আরও পড়ুন- পণ্য বহনের নয়া করিডর চায় নেপাল, রাজি দিল্লিও
আরও দেখুন- দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এমন রোবটিক রেস্তরাঁ বানাল নেপাল!
ওই যৌথ সেনা মহড়ার পর একটি সম্মেলন হওয়ার কথা ভারতীয় সেনাপ্রধানের উদ্যোগে। তাতেও নেপালের সেনাপ্রধানের যোগদানের সম্ভাবনা খুবই কম বলে কূটনীতিকরা জানাচ্ছেন। কারণ, সোমবারই নেপালের নতুন সেনাপ্রধান দায়িত্ব নিচ্ছেন। তার পর তিনি হাতে যে সময় পাবেন, তাতে তাঁর পক্ষে ভারতীয় সেনাপ্রধানের আয়োজন করা সম্মেলনে যোগ দেওয়া সম্ভব নয় বলে কূটনীতিকদের অনুমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy