বিশ্বের অন্যতম সস্তা দুই শহর ভারতে। নয়াদিল্লি ও মুম্বই। সবচেয়ে খরচসাপেক্ষ দু’টি সুইৎজারল্যান্ডে। জুরিখ ও জেনেভা।
সম্প্রতি পৃথিবীর ৭১টি বৃহত্তম শহরের উপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছে সুইস ব্যাঙ্ক। তাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। খাবারের দাম, বাড়ি ভাড়ার হার এবং শহরবাসীর আয়-সহ বিভিন্ন সূচকের উপর ভিত্তি করে সুইস ব্যাঙ্ক ইউবিএসের এই সমীক্ষা। তবে, দেখা গিয়েছে, ভারতীয় শহরে খরচ যেমন কম, তেমনই শহরবাসীর আয়ও অন্যদের তুলনায় যথেষ্ট কম।
যে ৭১টি শহরের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে, তার মধ্যে অবশ্য কলকাতা নেই। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কলকাতা এই তালিকায় থাকলে সস্তা হওয়ার প্রতিযোগিতায় নয়াদিল্লি ও মুম্বই অনেক পিছনে পড়ে যেত। তবে কলকাতাকে তালিকা থেকে বাদ রাখলে ইউরোপ, আমেরিকা এমনকী এশিয়ার বিভিন্ন বড় শহরের চেয়ে দিল্লি-মুম্বইতে জিনিসপত্রের দাম বা বাড়িভাড়া অনেক কম। একই ভাবে কম পারিশ্রমিক বা বেতনের হারও। সুইৎজারল্যান্ডের দুই শহর জুরিখ এবং জেনেভাতে জীবনযাত্রার খরচ যেমন বেশি, নাগরিকদের আয়ও ভারতের নিরিখে আকাশছোঁয়া। তাই বাজারদর যতই আগুন হোক, উচ্চ হারের বেতন বা পারিশ্রমিক জীবনযাত্রাকে কষ্টকর হতে দেয় না। খরচসাপেক্ষ শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে নিউ ইয়র্ক, চতুর্থ অসলো আর পঞ্চম লন্ডন। কিন্তু, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, লন্ডনে খরচের সঙ্গে আয়ের তীব্র অসামঞ্জস্য রয়েছে। খরচের নিরিখে ব্রিটিশ রাজধানী পঞ্চম স্থানে থাকলেও, শহরবাসীর আয়ের হারের সাপেক্ষে লন্ডন তালিকায় ১৩ নম্বরে। লন্ডনের নাগরিকদের গড় বেতনের হার বলছে, গড়ে ৪১.২ ঘণ্টা কাজ করলে একজন লন্ডনবাসী একটি আইফোন সিক্স কিনতে পারেন। সেখানে আইফোন সিক্স কিনতে জুরিখের একজন বাসিন্দার ২০.৬ ঘণ্টা কাজ করলেই চলে। লন্ডনে খাদ্যপণ্যের দাম অবশ্য তুলনায় একটু কম। সমীক্ষা বলছে, ব্রিটিশ রাজধানীর বাসিন্দারা গড়ে ৬ মিনিট কাজ করলেই এক কিলোগ্রাম রুটি কিনতে পারেন। নিউ ইয়র্কে রুটির দাম অনেক বেশি। কিন্তু, উচ্চ পারিশ্রমিকের সুবাদে সেখানকার কোনও বাসিন্দা গড়ে তিন মিনিট কাজ করলেই জোগাড় করে ফেলেন এক কিলোগ্রাম রুটির দাম।
ইউরোপের শহরগুলির মধ্যে সবচেয়ে সস্তা বালগেরিয়ার সোফিয়া। এই শহর নয়াদিল্লি আর মুম্বইকেও পিছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা শহরের তকমা পেয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy