জেএলটিভি। ছবি: এএফপি।
প্রথমে ছিল জিপ, তার পর এল হামভি। এ বার হামভি-ও মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রাক্তনের তালিকায় ঢুকে গেল। সেই জায়গায় সদর্পে এল জেএলটিভি।
কী এই জেএলটিভি?
এটি একটি যুদ্ধযান। যা সম্প্রতি মার্কিন বাহিনীতে স্থান দখল করেছে। জেএলটিভি, পুরো নাম জয়েন্ট লাইট ট্যাকটিক্যাল ভেহিকলস। বহু কর্মক্ষমতা সম্পন্ন এই যুদ্ধযানটি এখন থেকে মার্কিন সেনাবাহিনীর বড় ঢাল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রযুক্তিগত দিক থেকে এটি হামভি-র থেকেও বহু এগিয়ে। পূর্বসূরিদের মতো এর নামটা ততটা আকর্ষক না হলেও কর্মক্ষমতা কিন্তু বাজিমাত করার মতোই। এই যুদ্ধযানটি না কি মার্কিন সেনাদের শত্রুপক্ষের হামলা থেকে রক্ষা করবে। এর আরও বিশেষত্ব হল, অন্যান্য যুদ্ধযানের থেকে ৭০ শতাংশ বেশি জোরে চলে এবড়ো-খেবড়ো পাহাড়ি রাস্তা দিয়েও। এবং এতই হাল্কা যে হেলিকপ্টার করে এক জায়গা থেকে সহজে অন্য জায়গায় বহন করে নিয়ে যাওয়া যায়।
২০০৩-এ ইরাক যুদ্ধের পর থেকেই অত্যাধুনিক যুদ্ধযানের সন্ধানে ছিল মার্কিন সেনা। গত মাসেই হামভিকে সরিয়ে জায়গা করে নেয় জেএলটিভি। গত ২৫ অগস্ট ৬.৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি হয় জেএলটিভি প্রস্তুতকারক সংস্থা ওসকোস-এর সঙ্গে। লকহিড মার্টিন এবং এএম জেনারেলের মতো সংস্থাগুলিকে পিছনে ফেলে মার্কিন সেনাবাহিনীর জন্য এই যুদ্ধযানের বরাত পায় তারা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন সেনার গর্বের প্রতীক ছিল জিপ। কিন্তু ১৯৮০ সালে জিপ অচল হয়ে পড়ল সেনাবহিনীতে। সেই জায়গায় আনা হল অত্যাধুনিক হামভি যুদ্ধযানকে। এই যুদ্ধযানটি বহু যুদ্ধের শরিক। ইরাক যুদ্ধেও এটিকে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটি ধরা পড়ে। মার্কিন সেনাবাহিনী যখন ইরাকে যুদ্ধ চালাচ্ছিল সেই সময় রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইনের হাত থেকে হামভি তাঁদের বাঁচাতে পারেনি বলে দাবি ছিল সেনাবাহিনীর। বিস্ফোরণ থেকে সেনাদের বাঁচাতে পারে এমন এক ধরণের যুদ্ধযানের খোঁজ শুরু তথন থেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy