নিউজ়িল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্ন ও তার সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ড। ছবি এপি
হাতের আঙুলে হিরের আংটি দেখে জল্পনা আগেও তৈরি হয়েছে। তবু শিক্ষানবিশ সাংবাদিকের চোখ হার মানেনি। শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে দেখা যায়, নিউজ়িল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্নের বাঁ হাতের মধ্যমায় ঝলমল করছে হিরের আংটি। সেই সাংবাদিক সোজা প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কাছে জানতে চান, এই আংটিটি কি বিশেষ কোনও কারণে?
জেসিন্ডার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইস্টারের ছুটিতে বহু দিনের সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ডের সঙ্গে বাগদান পর্ব সেরে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী। গত বছর প্রথম কন্যাসন্তানের মা হয়েছিলেন তিনি। মেয়ের দেখভালের জন্য বাড়িতে থাকেন ক্লার্ক। তাঁর সঙ্গে জেসিন্ডার সম্পর্ক নিয়ে এ বছরের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কবে ক্লার্ককে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন? তখন জেসিন্ডা বলেছিলেন, ‘‘আমি জিজ্ঞেস করব না। ওই প্রশ্ন নিয়ে ও ভেবে ভেবে মাথা খারাপ করুক!’’
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে সামলাতেই মা হওয়া। এই রেকর্ড আগে ছিল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজ়ির ভুট্টোর। তার পরেই দ্বিতীয় স্থানে ৩৮ বছরের জেসিন্ডা। মা হওয়ার সময়েই নিউজ়িল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ক্লার্ক বাড়িতে থেকে বাচ্চার দায়িত্ব সামলাতে চান। এই সূত্রে নিজেকে ভাগ্যবান বলেও দাবি করেন জেসিন্ডা। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমার সঙ্গে এমন এক জন আছেন, যিনি আমার পাশে তো থাকবেনই, তার সঙ্গে সঙ্গে সেই যৌথ দায়িত্বের অনেকটাই সামলাবেন, কারণ তিনি বাবা, বেবিসিটার নন।’’ নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে ছোট্ট মেয়েকে কোলে নিয়েই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন জেসিন্ডা।
২০১২ সালে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রথম দেখা হয়েছিল জেসিন্ডা আর ক্লার্কের। টেলিভিশনে উপস্থাপকের কাজ করতেন ক্লার্ক। বাগদানের কথা মানলেও জেসিন্ডার বিয়ে কবে, তা নিয়ে কিছু জানায়নি প্রধাননমন্ত্রীর দফতর। আর বাগদানের প্রস্তাবও কে কাকে দিয়েছিলেন, জানা যায়নি তা-ও। এর আগেও দু’বার জেসিন্ডার আঙুলে আংটি দেখে বাগদানের জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে সে যাত্রা গুজব বলে সব উড়িয়ে দেন জেসিন্ডা। তিনি জানিয়েছিলেন, বাঁ হাতের আঙুলে চামড়ার রোগের জন্য তাঁকে ঘন ঘন আংটি বদলাতে হয়!
গত ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে বন্দুকবাজের হামলায় ৫১ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। সে সময়ে জেসিন্ডা যে ভাবে সমব্যথী হয়ে স্বজনহারাদের পাশে থেকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বার্তা দিয়ে সদর্থক ভূমিকা পালন করেছিলেন, তা বিশ্ব জুড়ে প্রশংসা পেয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy