নাইজিরিয়ার প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বুরাহি।ছবি: রয়টার্স।
দেশের বাইরে মাত্র পাঁচ মাস ছিলেন। আর তাতেই তাঁর ছবি-ভিডিয়ো ঘিরে রটে যায়, প্রেসিডেন্ট মারা গিয়েছেন! তাঁর জায়গায় নাকি সুদান থেকে হুবহু তাঁর মতো দেখতে এক জনকে নিয়ে এসে প্রেসিডেন্টের আসনে বসানো হয়েছে! এমন কাজকর্মে এখন বেজায় ফ্যাসাদে পড়েছেন নাইজিরিয়ার প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বুরাহি। তিনিই যে আসল প্রেসিডেন্ট, তা প্রমাণ করতেই এখন কালঘাম ছোটার জোগাড় তাঁর। সাংবাদিকদের প্রশ্নবান সামলে, ই-মেল করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো আপলোড করে অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে হচ্ছে তাঁকে।
ঘটনাটি গত বছরের। নাইজিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ৭৫ বছরের বুরাহি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার জন্য পাড়ি দেন ব্রিটেনে। সেখানে টানা পাঁচ মাস তাঁর চিকিৎসা চলে। তার মধ্যেই এই ঘটনা। সে সময় কোনও এক অজানা ব্যক্তি রটিয়ে দেন যে প্রেসিডেন্ট মারা গিয়েছেন। শুধু এই মিথ্যা প্রচার করেই ক্ষান্ত হননি তিনি। পরে তাঁর কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো দেখিয়ে ওই অচেনা ব্যক্তি দাবি করেন, ছবি-ভিডিয়োতে যাকে দেখা যাচ্ছে তিনি আসলে প্রেসিডেন্ট নন। হুবহু প্রেসিডেন্টের মতো দেখতে একজন। সুদান থেকে জুব্রিল নামে ওই ব্যক্তিকে এনে প্রেসিডেন্টের আসনে বসানো হয়েছে। ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্টের মৃত্যু-সংবাদ।
নাইজিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বুরাহি জানান, এই কথা শুনে অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। অনেকে আবার ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে ছুটে যান তাঁকে ডেপুটি প্রেসিডেন্ট করার জন্য। এ সব শুনে ভাইস প্রেসিডেন্টও ঘাবড়ে গিয়ে লন্ডনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চলে যান।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর পর মহাশূন্যে ‘মানুষের’ ঠিকানা কী? এ বার ফোনেই মিলবে খোঁজ
আর এখন? ওই ছবিটা যে তাঁরই এবং তিনিই প্রকৃত নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট তা জানাতে প্রচার চালাচ্ছে তাঁর সরকার। সমগ্র নাইজেরিয়বাসীকে ই-মেল মারফত সেই বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। ই-মেলের শিরোনামে লেখা, ‘এটাই প্রকৃত আমি, প্রেসিডেন্ট বুরাহি ক্লোনিং অভিযোগের প্রত্যুত্তর দিচ্ছেন।’ টুইটারে এই জল্পনার সমাধা করে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন তিনি। সম্প্রতি এক সভায় সাংবাদিকরাও তাঁকে ওই একই প্রশ্ন করেন। উত্তরে তিনি জানান, যে বা যাঁরা এমন কাজ করেছেন তাঁরা আসলে ‘মূর্খ’ এবং ‘অসৎ’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy