ফাইল চিত্র।
পঞ্চাশের দশকে দুই কোরিয়ার যুদ্ধে ভেঙেছিল বহু পরিবার। সেই বিচ্ছিন্ন মানুষদের মিলিয়ে দিতে উদ্যোগ নিল উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। সম্প্রতি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের আশ্বাস দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। তার পরে বদল এসেছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির সমীকরণেও। নতুন সম্পর্কের ইঙ্গিত মিলেছে দুই প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকে। তারই প্রেক্ষিতে এই উদ্যোগে শামিল দুই দেশ। শুক্রবার দু’দেশের আধিকারিকেরা বৈঠকে বসেছেন পুনর্মিলনকে বাস্তব করে তুলতেই।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক জানিয়েছে, এপ্রিলে কিমের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের বৈঠকে পুনর্মিলন সংক্রান্ত যে বিষয়গুলি উঠেছিল, তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ফের মে মাসে বৈঠকে বসবেন দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা। সেখানেও শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে উঠতে পারে এই বিষয়টি। প্রথম বৈঠকেই পুনর্মিলনের বিষয়ে একমত হয়েছিলেন দু’জনে। চলতি বছরের ২০ থেকে ২৬ অগস্টের মধ্যেই এই মিলনোৎসব হতে পারে। শুক্রবারের আলোচনায় উঠতে পারে সেই উৎসবের স্থান ও কত মানুষকে তাতে শামিল করা হবে, সেই বিষয়টিও। এই অনুষ্ঠান নিয়ে দু’দেশেই তৈরি হয়েছে আবেগঘন পরিস্থিতি। দু’দেশের বিচ্ছিন্ন মানুষেরা শেষ বয়সে পরিজনেদের সামনে থেকে দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন।
১২ জন রেস্তরাঁ কর্মীকে উত্তর কোরিয়া দেশে ফেরাবে কি না, সেই দিকেও তাকিয়ে রয়েছে অনেকে। কারণ বছর দুয়েক ধরেই উত্তরের ১২ জন বাসিন্দা রয়েছেন প্রতিবেশী দেশে। মনে করা হচ্ছে, এ বার হয়তো অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদের অনেককেই ফিরতে হবে নিজের দেশে।
পুনর্মিলন উৎসব শুরুর আগে দক্ষিণ কোরিয়া চায় এ নিয়ে সমীক্ষা করতে। যার থেকে হিসেব মিলবে, যুদ্ধ-বিচ্ছিন্ন মানুষের সংখ্যা ঠিক কত।
উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের বেছে নিতে লটারির আয়োজন করছে দক্ষিণ কোরিয়া। অন্য দিকে, উত্তর কোরিয়ায় মাপকাঠি শাসকের প্রতি আনুগত্য। শেষে কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে, তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় দু’দেশের আমজনতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy