পাকিস্তানে ঢুকে যদি জঙ্গি ঘাঁটি ভাঙে ইরান, তা হলে ইসলামাবাদের পক্ষে তা যে একেবারেই সম্মানজনক হবে না, সে কথা ভালই বুঝছেন নওয়াজ শরিফ। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানকে চরম হুঁশিয়ারি এ বার ইরানের। পাক ভূখণ্ড থেকে ইরানের উপর জঙ্গি হামলা যদি বন্ধ না হয়, তা হলে চড়া মূল্য চোকাতে হবে পাকিস্তানকে। ইসলামাবাদকে এমনই হুঁশিয়ারি দিল তেহরান। ইরানের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি ভেঙে আসবে। জানিয়ে দিলেন ইরানের সেনাপ্রধান। পাকিস্তান যদি ইরানি বাহিনীর সেই চরম পদক্ষেপ এড়াতে চায়, তা হলে ইরান বিরোধী সুন্নি জঙ্গি সংগঠনগুলির ঘাঁটি অবিলম্বে ভাঙতে হবে। ইসলামাবাদকে খুব স্পষ্ট করে তেহরান এ কথা জানিয়ে দিয়েছে।
গত মাসে পাক-ইরান সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়া একাধিক জঙ্গি হামলায় ইরানি বর্ডার গার্ডসের ১০ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তেহরানের দাবি, পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা একটি সুন্নি জঙ্গি সংগঠন দূরপাল্লার বন্দুক থেকে গুলি চালিয়ে বর্ডার গার্ডস সদস্যদের খুন করছে। ‘‘এই পরিস্থিতি আমরা চলতে দিতে পারি না’’, বলেছেন ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মহম্মদ বকেরি। ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা সূত্রে মেজর জেনারেল বকেরির এই হুঁশিয়ারির কথা জানা গিয়েছে। বকেরি আরও বলেছেন, ‘‘আমরা আশা করি, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে আনবে, জঙ্গিদের গ্রেফতার করবে এবং তাদের ঘাঁটিগুলি বন্ধ করে দেবে।’’ ইরানের সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি, ‘‘যদি জঙ্গি হানা চলতে থাকে, আমরা তাদের নিরাপদ ঘাঁটিতে গিয়ে আঘাত হানব, সে ঘাঁটি যেখানেই থাক।’’ মেজর জেনারেল বকেরির এই ঘোষণা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে আঘাত হানার কথাই বলেছেন তিনি।
ইরানের সেনাপ্রধান যে হুঁশিয়ারি পাকিস্তানকে দিয়েছেন, তাতে ইসলামাবাদের রক্তচাপ বাড়তে বাধ্য। —ফাইল চিত্র।
গত সপ্তাহে ইরানের বিদেশ মন্ত্রী মহম্মদ জাভেদ জরিফ পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন। সীমান্তের পরিস্থিতি এবং সুন্নি জঙ্গিদের দৌরাত্ম্য নিয়ে তেহরানের অসন্তোষের কথা জরিফ সাফ জানিয়ে আসেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে। শরিফ নাকি আশ্বাস দিয়েছেন, সীমান্তে পাক বাহিনী নজরদারি আরও বাড়াবে। কিন্তু বাস্তবে সুন্নি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ পাকিস্তান করেনি। তাই এ বার পাকিস্তানে ঢুকে সামরিক অভিযানের হুঁশিয়ারি দিয়ে দিল তেহরান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy