Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
International News

এয়ার পিউরিফায়ার বানিয়ে ‘টাইম’-এর সেরার তালিকায় যোগী

সাউথ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক যোগী গোস্বামীর বানানো এয়ার পিউরিফায়ার যন্ত্রটি এ বছর ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের সেরা ২৫টি উদ্ভাবনের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

পুত্র দিলীপ ও কন্যা জয়ার সঙ্গে যোগী গোস্বামী। ছবি- সংগৃহীত।

পুত্র দিলীপ ও কন্যা জয়ার সঙ্গে যোগী গোস্বামী। ছবি- সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৭:০০
Share: Save:

বাতাসের বিষকে পুরোপুরি টেনে-শুষে নেওয়ার এক ‘বিষহরি’ বানিয়ে ফেলেছেন যোগী।

আদ্যোপান্ত ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারের বানানো এই অবাক করে দেওয়া ‘বিষহরি’- এয়ার পিউরিফায়ার রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মার্কিন মুলুকে। সাউথ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক যোগী গোস্বামীর বানানো এয়ার পিউরিফায়ার যন্ত্রটি এ বছর ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের সেরা ২৫টি উদ্ভাবনের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

বাতাসে ভেসে ও মিশে থাকা ক্ষুদ্রতম জীবাণুদেরও নির্মূল করার এয়ার পিউরিফায়ার উদ্ভাবনের উৎসাহটা যোগী পেয়েছিলেন তাঁর ছেলে দিলীপের শারীরিক অবস্থা দেখে। দিলীপ জন্ম থেকেই অ্যাজমার রোগী। ছোটবেলা থেকেই শ্বাসকষ্ট দিলীপের নিত্যসঙ্গী। তাই বাতাসের বিষ নাশের চেষ্টায় মরীয়া চেষ্টা শুরু হয় দিল্লি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (অধুনা দিল্লি টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি) স্নাতক যোগী গোস্বামীর।

আরও পড়ুন- ইতিহাসের প্রশ্নপত্রে তিন তালাক থেকে হালালা, ক্ষুব্ধ বিএইচইউয়ের ছাত্ররা

আরও পড়ুন- কভারের ছবির রহস্যজনক হাতটি কার, জানাল টাইম ম্যাগাজিন​

নয়ের দশকের মাঝামাঝি সৌরশক্তি নিয়ে গবেষণার জন্য দিল্লি থেকে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দেন যোগী। যোগ দেন সাউথ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমেরিকাতেই জন্ম হয় তাঁর ছেলে দিলীপ আর মেয়ে জয়ার।

টানা ২০ বছরের গবেষণার পর অত্যাধুনিক এয়ার পিউরিফায়ার বানিয়ে ফেলেছেন যোগী। যার নাম- ‘মলিকি‌উল’। যা বাতাসে ভেসে ও মিশে থাকা ক্ষুদ্রতম জীবাণুদের শরীর ভেঙেচুরে দিয়ে তাদের নির্মূল করতে পারে। ‘টাইম’ ম্যাগাজিন জানাচ্ছে, এটাই বিশ্বের প্রথম কোনও এয়ার পিউরিফায়ার যা বাতাসকে পুরোপুরি জীবাণুমুক্ত করতে পারে।

বাজারে চালু এয়ার পিউরিফায়ারগুলিতে যে হাই এফিসিয়েন্সি পার্টিকুলেট অ্যাবজর্ভার (এইচইপিএ বা ‘হেপা’) ফিল্টার রয়েছে, তা বাতাসে মিশে থাকা ক্ষুদ্রতম ও অত্যন্ত ক্ষতিকর জীবাণুগুলিকে টেনে নিতে পারে না। ফলে আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক জীবাণুগুলি থেকেই যায় বাতাসে। আর প্রশ্বাসের সঙ্গে সেগুলি আমাদের শরীরে ঢুকে বিপদ ঘটায়। ব্যাকটেরিয়া বা বড় চেহারার জীবাণুগুলিকে ওই এয়ার পিউরিফায়ার বাতাস থেকে টেনে নিতে পারলেও তারা ওই ফিল্টারের ওপরের তলেই লেগে থাকে। পরে সেখান থেকে তাদের দ্রুত বংশবৃদ্ধি বা মিউটেশন হয়। তার পর আবার তারা বাতাসে মিশে যায়, ছড়িয়ে পড়ে।

যোগীর মেয়ে ‘মলিকিউল’ সংস্থার চিফ অপারেটিং অফিসার জয়া গোস্বামী রাও বলেছেন, ‘‘মলিকিউলের অভিনবত্ব এখানেই যে, এই এয়ার পিউরিফায়ারের ফিল্টার বাতাসে ভেসে থাকা ক্ষুদ্রতম জীবাণুগুলিকে পুরোপুরি ধ্বংস ও নির্মূল করে দিতে পারে।’’

জয়া জানিয়েছেন, তাঁদের উদ্ভাবিত এয়ার পিউরিফায়ারটি ফোটো ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল অক্সিডেশন (পেকো) প্রযুক্তিতে চলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE