ফাইল চিত্র।
গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে ২০১৫-র ২৬ জানুয়ারি দিল্লি এসেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। নরেন্দ্র মোদীর ঠিক পাশে বসে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ দেখতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এত দিনে জানা গেল, সেটা নেহাত সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল না। বিশেষ কার্যসিদ্ধির জন্যই সে বার ভারতে এসেছিলেন ওবামা। তাঁরই এক সময়ের ঘনিষ্ঠ পার্ষদ বেঞ্জামিন রোডস সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, সবটাই ছিল প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ভারতকে কাছে টানার কৌশল।
২০১৪-র শেষে চিনকে রাজি করানো গিয়েছিল। কিন্তু আমেরিকার কাছে তখনও প্রধান কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল নয়াদিল্লি। ওবামার দিল্লি আসার প্রস্তুতি তখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন রোডস। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতকে রাজি করানোর ক্ষেত্রে সেই সময়ে প্রেসিডেন্টের বেশির ভাগ পরামর্শদাতাই বলেছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে সখ্য জমাতেই হবে বারাক ওবামাকে।’’
ওবামা তাতে রাজিও হয়ে যান। তখনই সিদ্ধান্ত হয়, আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২৬ জানুয়ারির কুচকাওয়াজ দেখতে আসবেন ভারতে আসবেন তিনি। রোডসের দাবি, এর পর থেকে মোদীর সঙ্গে টানা সদ্ভাব রাখার চেষ্টা করেছিলেন ওবামা।
কিন্তু প্যারিস চুক্তি নিয়ে মুখোমুখি বৈঠকে কী হয়েছিল? রোডস বলেন, ‘‘সে দিনের কথা ভুলতে পারব না। ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রায় আধঘণ্টা কথা বলেছিলেন ওবামা।’’ কিন্তু প্যারিস চুক্তিতে সইয়ের ব্যাপারে তখনও রাজি হননি মোদী। রোডসের দাবি, মোদী ওবামাকে জানান, ৩০ কোটি ভারতবাসীর ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। এই অবস্থায় কয়লার ব্যবহার বন্ধ করা অসম্ভব! এর পরেই মোক্ষম বর্ণ-তাস খেলেন ওবামা। বলেন, ‘‘দেখুন, আমি কৃষ্ণাঙ্গ। আফ্রো-আমেরিকান। সমাজের একটা অংশের রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাওয়াটা আমিও মানতে পারি না। কিন্তু আমাদেরও তো বাঁচতে হবে। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিও সেই লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy