Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
International News

উত্তর কোরিয়ার জন্য একটাই ওষুধ: ট্রাম্পের মন্তব্যে যুদ্ধের জল্পনা তুঙ্গে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। আলোচনায় কোনও কাজ হবে না, উত্তর কোরিয়ার জন্য কাজ করবে একটাই জিনিস— টুইটারে ট্রাম্পের এমন মন্তব্য ঘিরেই জল্পনা শুরু হয়েছে আমেরিকায়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে ভাষায় টুইট করেছেন এবং মিডিয়াকে যে রকম ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে যুদ্ধের জল্পনা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ছবি: এএফপি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে ভাষায় টুইট করেছেন এবং মিডিয়াকে যে রকম ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে যুদ্ধের জল্পনা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৭ ১৪:৪১
Share: Save:

উত্তর কোরিয়া আক্রমণ করার প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার কথা বলেননি তিনি। কিন্তু গত কয়েক দিনে ট্রাম্পের বেশ কিছু পদক্ষেপ এবং কথাবার্তায় যুদ্ধের প্রস্তুতির ইঙ্গিত স্পষ্ট। বলছে ওয়াকিবহাল মহল। একটাই ওষুধ কাজ করবে উত্তর কোরিয়ার জন্য— শনিবার টুইটারে অনেকটা এমনই লিখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার আগে বৃহস্পতিবার রাতে হোয়াইট হাউজে আমেরিকার শীর্ষ সামরিক কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ছবি তুলেছেন ট্রাম্প। সেই ছবি প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে ট্রাম্পের মন্তব্য, এই ছবির অর্থ কী, নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে। তবে কি যুদ্ধ ঘোষণার পথেই ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের জবাব, খুব তাড়াতাড়িই সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

শনিবার বিকেলে দু’টি টুইট করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্টরা এবং প্রশাসনিক কর্তারা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ২৫ বছর ধরে আলোচনা চালাচ্ছেন, অনেক চুক্তি করা হয়েছে, বিপুল অর্থ খরচ হয়েছে ... কাজ হয়নি, চুক্তিপত্রে হস্তাক্ষরের কালি শুকনোর আগেই চুক্তি ভাঙা হয়েছে, আমেরিকাকে বোকা বানানো হয়েছে। আমি দুঃখিত, কিন্তু একটাই মাত্র জিনিসে কাজ হবে।’’

আরও পড়ুন: স্বল্প নোটিসেই যুদ্ধে প্রস্তুত বায়ুসেনা, বার্তা বায়ুসেনা প্রধানের

আলোচনা বা চুক্তিতে কাজ হবে না, উত্তর কোরিয়ার জন্য কাজ করবে একটাই মাত্র ওষুধ— এই বার্তার অর্থ কী? তোলপাড় শুরু হয়েছে আমেরিকায়। চাঞ্চল্য আন্তর্জাতিক মহলেও। তা হলে কি যুদ্ধের পথেই হাঁটতে চলেছেন ট্রাম্প? বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাইজে দেশের শীর্ষ সামরিক কর্তাদের নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বৈঠক করেন। তার পরে সামরিক কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ছবিও তোলেন। সেই ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। ট্রাম্প মার্কিন মিডিয়াকে বলেছিলেন, ‘‘আপনারা সকলেই জানেন এই ছবির অর্থ কী।’’ ট্রাম্প আরও বলেছিলেন, ‘‘হতে পারে এটা ঝড়ের আগের শান্তি।’’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এর পর মার্কিন মিডিয়ার তরফে বার বারই জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি ঠিক কী বার্তা দিতে চাইছেন। প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট জবাব দেননি। কখনও বলছেন, ‘‘আপনারা বুঝতে পারবেন।’’ কখনও বলেছেন, ‘‘খুব তাড়াতাড়িই আপনারা সব জানতে পারবেন।’’ হোয়াইট হাউজের মুখপাত্রও সেই সুরেই বলেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট কী করতে চলেছেন, তা আমরা আগে থেকে কিছুতেই জানাব না।’’ স্বাভাবিক ভাবেই জোর জল্পনা চলছে উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে ট্রাম্পের সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে।

আরও পড়ুন: কিমের নতুন ক্ষেপণাস্ত্রে চাপা উদ্বেগে আমেরিকা

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সুরও বরাবরই চড়া। কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে আগেও একাধিক বার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ট্রাম্পের সেই সব হুঁশিয়ারিতে যুদ্ধের প্ররোচনা রয়েছে বলে পিয়ংইয়ং অভিযোগ করেছে। উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমায় মার্কিন যুদ্ধবিমান দেখা গেলেই তা গুলি করে নামানো হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি এমনিতেই উত্তপ্ত। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ট্রাম্পের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও মন্তব্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে যুদ্ধের আশঙ্কা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE