Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

চাপের মুখে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় পাকিস্তান

এসসিও সম্মেলনে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার পরই ঝুলন্ত খাঁড়ার মুখোমুখি হতে হবে ইসলামাবাদকে। জুন মাসের ২০ এবং ২১ তারিখ আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা এফএটিএফ (ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স)-এর বৈঠক বসছে ফ্লরিডার অর্ল্যান্ডোতে

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৯ ০৩:৪৪
Share: Save:

এসসিও সম্মেলনে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার পরই ঝুলন্ত খাঁড়ার মুখোমুখি হতে হবে ইসলামাবাদকে। জুন মাসের ২০ এবং ২১ তারিখ আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা এফএটিএফ (ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স)-এর বৈঠক বসছে ফ্লরিডার অর্ল্যান্ডোতে। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এবং জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্য বন্ধ করা নিয়ে এফএটিএফ-এর পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে যে ২৭ দফা পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাতে কতটা অগ্রসর হল ইমরান খানের সরকার, সেই কৈফিয়ৎ চাইবেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা। ইতিমধ্যেই ধূসর তালিকায় থাকা পাকিস্তানের ১৮ মাসের সময়সীমা অক্টোবর মাসে শেষ হচ্ছে। জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্য বন্ধ করার প্রশ্নে পাকিস্তান উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ না-দিতে পারলে কালো তালিকাভুক্ত হতে হবে। যার অর্থ, অর্থনৈতিক ভাবে প্রবল চাপের মধ্যে থাকা ইমরান সরকারের সামনে আইএমএফ-এর প্রস্তাবিত বিপুল অঙ্কের ঋণের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে।

তাই নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হচ্ছে পাক সরকার। শুধু এফএটিএফ-ই নয়, পাকিস্তানের উপর সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ধ্বংসের ব্যাপারে হাতে কলমে এবং চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে চাপ বাড়িয়েছে আমেরিকাও। আর্থিক সহায়তায় টান পড়তে শুরু করেছে। আজই ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক কর্তা ইমরান সরকারের দিকে তর্জনী নির্দেশ করে বলেছেন, ‘‘আমরা চাই পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। তাদের মাটি ব্যবহার করে জঙ্গিরা যে ভাবে গোটা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, তা বন্ধ করুক পাকিস্তান। সীমান্ত পার করে ভারতে ঢুকে যে কাণ্ড সন্ত্রাসবাদীরা ঘটাচ্ছে, তা বন্ধের কাজটা পাকিস্তানকেই করতে হবে।’’

ঘটনা হল, লস্কর নেতা হাফিজ সঈদ এবং তার শ্যালক আব্দুর রহমান মাক্কির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে পাক সরকার। পাশাপাশি জইশ নেতা মাসুদ আজহারকে বলা হয়েছে সভা সমাবেশ বন্ধ করে গুটিয়ে যেতে। মে মাসের ১৫ তারিখেই মাক্কিকে গ্রেফতার করে পাক পুলিশ। সম্প্রতি লাহৌরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে ইদ উপলক্ষে গত বুধবার বড় জনসমাবেশ করতে চেয়েছিল হাফিজ সইদ। তাকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। সাম্প্রতিক অতীতে এমনটা প্রথম ঘটল। বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার মতে, ‘‘এটা নিছকই লোক দেখানোর জন্য করছে পাকিস্তান। কিন্তু আমাদের পক্ষে তা ভালই। আমরা চেষ্টা করব, ইসলামাবাদের উপর চাপ বজায় রাখতে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Narendra Modi Imran Khan Pakistan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE