ছবি: রয়টার্স।
সন্ত্রাসে আর্থিক মদত বন্ধ করতে বলে ৪০টি সুপারিশ করা হয়েছিল। গত প্রায় দেড় বছরে তার মধ্যে মাত্র একটি সুপারিশ মেনেছে পাকিস্তান! একাধিক সুপারিশ অগ্রাহ্যই করেছে তারা। সেই সব সুপারিশের বেশির ভাগই অবহেলিত। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী এমন তথ্য প্রকাশ হওয়ার পরে অনেকেই মনে করছেন, সন্ত্রাসে আর্থিক মদত বন্ধ করা নিয়ে নজরদারি সংস্থা এফএটিএফ-এর আসন্ন বৈঠকে পাকিস্তানকে ফের ‘ধূসর তালিকা’তেই রেখে দেওয়া হবে। চলতি মাসেই প্যারিসে সংস্থাটির প্লেনারি অধিবেশনে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
এর মধ্যেই পাকিস্তানকে খোঁচা দিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেছেন, এফএটিএফ যে কোনও দিন পাকিস্তানকে ‘কালো তালিকা’য় ফেলে দেবে। এমনিতেই পরিস্থিতি বেশ চাপের। তার মধ্যে রাজনাথের এমন মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে ইসলামাবাদ। তাদের বক্তব্য, এফএটিএফ-এর কর্মপদ্ধতিতে রাজনীতি ঢোকানোর চেষ্টা করছে ভারত।
সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের মদত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব ভারত। তাদের অভিযোগ, জঙ্গিদের শুধু প্রশিক্ষণ বা অস্ত্র সাহায্যই করে না পাকিস্তান। একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীকে বিপুল পরিমাণ অর্থও সাহায্য করে তারা। এই অবস্থায় গত বছর জুনেই পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় পাঠিয়ে এফএটিএফ জানিয়ে দেয়, জঙ্গিদের আর্থিক মদত দেওয়া বন্ধ করতেই হবে ইসলামাবাদকে। না হলে পাকিস্তানকে ‘কালো তালিকা’য় পাঠিয়ে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। তাদের ৪০টি সুপারিশ দ্রুত রূপায়ণ করতেও নির্দেশ দেয় আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। কিন্তু সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই সব সুপারিশের বেশির ভাগই অবহেলিত।
Asia Pacific Group (APG) of the Financial Action Task Force (FATF) : Pakistan should adequately identify, assess and understand its ML (Money Laundering)/TF (Terror Financing) risks including transnational risks and risks associated with terrorist groups operating in Pakistan. https://t.co/4hxpoDimOn
— ANI (@ANI) October 7, 2019
এ দিকে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে বন্দি তথা মুম্বই হামলার মূল ষড়যন্ত্রী হাফিজ সইদের গ্রেফতারি নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল লাহৌর হাইকোর্ট। ১৪ দিনের মধ্যে এ নিয়ে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে পঞ্জাব সরকার এবং সন্ত্রাস দমন দফতর (সিটিডি)-কে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy