Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
সড়ক নিয়ে চাপ চিনের

‘প্রকল্প স্থগিত’ বলেও পিছু হটলেন ইমরান

চিন-পাকিস্তান বাণিজ্য করিডর প্রকল্পকে এক বছরের জন্য থামিয়ে দিতে পারে ইসলামাবাদ।

আমেরিকাকে বার্তা ইমরানের। ফাইল চিত্র।

আমেরিকাকে বার্তা ইমরানের। ফাইল চিত্র।

বেজিং ও ইসলামাবাদ
শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:২২
Share: Save:

চিন-পাকিস্তান বাণিজ্য করিডর প্রকল্পকে এক বছরের জন্য থামিয়ে দিতে পারে ইসলামাবাদ। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরামর্শদাতাকে উদ্ধৃত করে একটি ব্রিটিশ সংবাদপত্রের রিপোর্ট নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে খবর প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই চিন ও পাকিস্তান দু’পক্ষই তড়িঘড়ি জানিয়ে দিয়েছে, ওবর-এর আওতায় থাকা এই বাণিজ্য করিডর প্রকল্পকে আটকানোর সম্ভাবনাই নেই। বেজিং-এর দাবি, প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর স্বপ্নের প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে পাকিস্তানের দায়বদ্ধতা এখনও অটল। পাকিস্তানের তরফেও বলা হয়েছে, ইমরানের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক পরমর্শদাতা আব্দুল রেজ্জাক দাউদের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

নওয়াজ শরিফ জমানায় এই প্রকল্পের কাজ এগোনো নিয়ে দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনেছিলেন ইমরান। কিন্তু জুলাইয়ের ভোটের ঠিক আগেই সুর বদলে নেন তিনি। এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তার পক্ষে সওয়াল করতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শদাতা দাউদের বক্তব্য চিনের এই প্রকল্পকে ঘিরে বেশ কিছু প্রশ্ন সামনে এনে দিয়েছে। ইমরানের পরামর্শদাতার দাবি, বাণিজ্য করিডর প্রকল্পে চিনা সংস্থাগুলিকে অতিরিক্ত সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। দাউদ বলেন, ‘‘নওয়াজ সরকার প্রকল্প নিয়ে হোমওয়ার্ক করেনি। ফলে চিনের সঙ্গে কথাবার্তাও ঠিক ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি পাকিস্তান। বেজিংকে অনেক ছাড় দিতে হয়েছে।’’ তাঁর যুক্তি, চিনা সংস্থাগুলি কর ছাড় পেয়েছে। পাকিস্তানের সংস্থাগুলিকে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে । যা ঠিক হয়নি।

চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইউই-র ইসলামাবাদ সফরের ঠিক পরেই পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় পদাধিকারীর এমন বক্তব্য নাড়িয়ে দিয়েছে বেজিংকে। মঙ্গলবার চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং দাবি করেন, প্রকল্প আটকানোর খবর ভিত্তিহীন। ওয়াং-এর সফরের সময়েই পাকিস্তানের নতুন সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে, এই বািজ্য করিডর প্রকল্পকে সবথেকে গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। গেং বলেন, ‘‘চিন-পাকিস্তানের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। আর প্রকল্প নিয়ে ইসলামাবাদের দায়বদ্ধতাও অটল।’’ ইসলামাবাদে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষেও একই সুরে কথা বলা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, ওয়াং-এর সফরের সময়েই এই প্রকল্পকে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নেওয়ার কথা ইমরান সরকার জানিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি, বেজিং এ দিন ইঙ্গিত দিয়েছে, চিন-পাকিস্তান বাণিজ্য করিডর প্রকল্পটিতে তৃতীয় কোনও দেশ যোগ দিতে পারে।

জটিলতা অবশ্য থামছে না। শরিফ জমানায় এই প্রকল্পের

যাবতীয় চুক্তি প্রকাশ্যে আনার দাবি করেছিলেন ইমরান। এর কাজ খতিয়ে দেখতে নয় সদস্যের একটি কমিটিও করেছেন তিনি। এতে রাখা হয়েছে দাউদকে। এ সপ্তাহেই কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা।

সংবাদ সংস্থা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE