—ফাইল চিত্র।
ইসলামিক রাষ্ট্রগুলির সর্ববৃহৎ মঞ্চ অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)-এ পাকিস্তানের ভারত-বিরোধী প্রচেষ্টা ব্যর্থ হল। ইসলামাবাদ চেয়েছিল ওআইসি-কে কাজে লাগিয়ে ভারতের গায়ে ইসলাম-বিদ্বেষের তকমা দিতে। কিন্তু পাকিস্তানের সেই চেষ্টাকে ভোঁতা করে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। এ ব্যাপারে আমিরশাহির পাশে দাঁড়িয়েছে মলদ্বীপও।
পাকিস্তান চেয়েছিল, ওআইসি-ভুক্ত দেশগুলির যাঁরা রাষ্ট্রপুঞ্জের দূত, তাঁদের নিয়ে একটি ঘরোয়া গোষ্ঠী তৈরি করতে। সেই গোষ্ঠীর বিষয়, ভারতে ইসলাম-বিদ্বেষ। সূত্রের খবর, আমিরশাহির তরফে এই ধরনের উদ্যোগকে বন্ধ করতে ওই গোষ্ঠীর অন্য রাষ্ট্রগুলির কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, ভারতকে এক মাত্র ইসলাম-বিদ্বেষী বলে দাগিয়ে দেওয়াটা তথ্যগত ভাবে ঠিক নয়। পাশাপাশি, এই ধরণের কোনও পদক্ষেপ করলে গোটা দক্ষিণ এশিয়ার ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। ওআইসি-তে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রভাব যথেষ্টই। কূটনীতিকদের একাংশের মতে, আমিরশাহির এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহেই তাৎপর্যপূর্ণ। গত কয়েক বছরে আবু ধাবির সঙ্গে নয়াদিল্লির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক লক্ষণীয় ভাবে বেড়েছে। ওআইসি-তে তার ফল হাতেনাতে পাওয়া গেল।
ওআইসি-তে পাক তৎপরতার বিরোধিতা করেছে প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপও। তারা বলেছে, সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু বিচ্ছিন্ন প্রচারকে গোটা ভারতের আবেগ বলে ধরে নেওয়া ঠিক নয়। রাষ্ট্রপুঞ্জে মলদ্বীপের স্থায়ী প্রতিনিধি থিলমিজা হুসেন জানিয়েছেন, তাঁদের দেশ অবশ্যই ইসলাম-বিদ্বেষ, গণহত্যা বা যে কোনও ধরনের হিংসার বিরোধী। তবে তাঁরা এটাও বিশ্বাস করে যে কোনও একটি বিশেষ দেশকে ওই কারণগুলি দেখিয়ে নিশানাকরলে, আসল মূল বিষয়টিকেই আড়াল করা হবে।
সূত্রের খবর, মোদী সরকারকে স্বস্তি দিয়ে এই ধরনের কোনও গোষ্ঠী তৈরি করছে না ওআইসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy