Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ইস্তফা দিন ক্যারি, ফের পথে হংকং

গত রবিবার থেকেই স্তব্ধ হংকংয়ের জনজীবন। ক্যারি প্রত্যর্পণ বিলের প্রস্তাব আনার পর থেকেই উত্তাল হংকং। বিলে বলা হয়েছিল, অপরাধীদের বিচারে প্রয়োজনে দেশের বাইরে পাঠানো হতে পারে।

দাবি: ক্যারি লামের প্রস্তাবিত প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। রবিবার হংকংয়ে। ছবি: রয়টার্স

দাবি: ক্যারি লামের প্রস্তাবিত প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। রবিবার হংকংয়ে। ছবি: রয়টার্স

সংবাদ সংস্থা
হংকং শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৯ ০০:৩৪
Share: Save:

চব্বিশ ঘণ্টা আগেই বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও শান্তি ফিরল না হংকংয়ে। এ বার শহরের প্রশাসনিক প্রধান ক্যারি লামের পদত্যাগের দাবিতে ফের পথে নামলেন হংকংয়ের সাধারণ মানুষ। তীব্র গরম উপেক্ষা আজ কয়েক লক্ষ প্রতিবাদী আবার পার্লামেন্ট অভিযানে নামেন।

গত রবিবার থেকেই স্তব্ধ হংকংয়ের জনজীবন। ক্যারি প্রত্যর্পণ বিলের প্রস্তাব আনার পর থেকেই উত্তাল হংকং। বিলে বলা হয়েছিল, অপরাধীদের বিচারে প্রয়োজনে দেশের বাইরে পাঠানো হতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে চিনও। এই বিলের মাধ্যমে চিনের একান্ত অনুগত ক্যারি বেজিংয়ের হাতে আরও কর্তৃত্ব তুলে দেওয়ার বন্দোবস্ত করছেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিল প্রত্যাহারের দাবিতে গত কয়েক দিনে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের হটাতে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, জল কামান এমনকি, রবার বুলেটও ব্যবহার করেছে দাঙ্গা-দমনকারী হংকং পুলিশ। তাদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে এই ক’দিনে আহত হয়েছেন ৮০ জনেরও বেশি। যার মধ্যে রয়েছেন ২২ জন পুলিশও। গোটা পর্বে এত দিন ক্যারির পাশেই দাঁড়িয়েছে চিন।

তবে প্রবল জনরোষে শেষমেশ কাল বিলটি স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেন ক্যারি। কিন্তু শহরবাসীর কাছে তিনি ক্ষমাসূচক কোনও বার্তা পাঠাননি। হংকংবাসীর দাবি, স্থগিত নয়, পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে এই বিল। সেই সঙ্গে দায়িত্ব থেকে সরে আসতে হবে প্রশাসনিক নেত্রীকে।

চাপের মুখে আজ ক্যারির দফতর একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘প্রশাসনিক প্রধান গোটা বিষয়ের জন্য শহরবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। যে কোনও ধরনের সমালোচনা উনি মন থেকে মেনে নেবেন’।

কিন্তু এই বার্তায় কাজের কাজ হয়নি। আজ কালো পোশাকে রাস্তায় নেমেছেন তাঁরা। হাতে প্ল্যাকার্ড ‘আমাদের গুলি কোরো না’। গত কাল বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে একটি বহুতল থেকে পড়ে মারা যান এক বিক্ষোভকারী। আজ সেই ঘটনাস্থল ফুলে ফুলে ঢেকে গিয়েছে। পার্লামেন্ট অভিযানের সময় আজও বেশির ভাগ বিক্ষোভকারী ফুল নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। গরমে বেশ কয়েক জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু তাঁদের সকলেরই দাবি, ক্যারি সরে না-যাওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদের রাস্তা থেকে তাঁরা সরবেন না। ‘‘ক্যারি এক জন ভয়াবহ নেত্রী। মিথ্যেয় ভরা। আমার তো মনে হয়, বিলটি স্থগিত রেখে উনি আসলে আমাদের বোকা বানাচ্ছেন, যাতে পরিস্থিতি শান্ত হলেই উনি সেটা পাশ করিয়ে নিতে পারেন,’’ বললেন বছর ষোলোর ছাত্রী ক্যাথরিন চিউং।

গোটা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের সঙ্গে খুব শীঘ্রই এ নিয়ে তিনি কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Extradition Bill Carrie Lam Hong Kong
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE