Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Donald Trump

ফের সেই হ্যান্ডশেক! ট্রাম্পের হাতে আঙুলের ছাপ বসিয়ে দিলেন মাকরঁ

একজনের বয়স ৭১, অপর জনের ৪০। ছবি দেখে মনে হতেই পারে একজনের থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে অপর জনকে। প্রথম জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, দ্বিতীয় জন ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। 

ট্রাম্প-মাকরঁর সেই করমর্দন।ছবি: এএফপি

ট্রাম্প-মাকরঁর সেই করমর্দন।ছবি: এএফপি

সংবাদ সংস্থা
লা মালবেই (কানাডা) শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৮ ১৪:৪২
Share: Save:

ফরাসি ভাষায় পোয়েইগনে দে মাঁ...

বাংলায় যাকে বলে করমর্দন...

একজনের বয়স ৭১, অপর জনের ৪০। ছবি দেখে মনে হতেই পারে একজনের থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে অপর জনকে। প্রথম জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, দ্বিতীয় জন ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ।

বছর খানেক আগে দুই প্রেসিডেন্টের সাক্ষাতের সূচনা বিশ্ব জুড়ে খবর হয়ে গিয়েছিল এই করমর্দনের দৌলতেই। প্যারিসে ‘বাস্তিল দে’ পালনের অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাঁদরেল করমর্দনের উত্তরে মাকরঁ এমন জোরে ট্রাম্পের হাত চেপে ধরেছিলেন যে, বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ বার জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে করমর্দনের পরও মাকরঁর আঙুলের ছাপ রয়ে গেল ট্রাম্পের হাতে। যদিও করমর্দনের ছবি বলছে, এই চাপাচাপির খেলাকে বেশ মজাচ্ছলেই নিয়েছেন দু’পক্ষ। কিছু দিন আগে হোয়াইট হাউসেও দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সাক্ষাত হয়েছে। ট্রাম্প মাকরঁর স্যুটে একবার হাত ছুঁইয়ে তা ঠিক করেও দিচ্ছেন, এমনটাও দেখা গিয়েছে।

এ বারের করমর্দন টানা ২৯ সেকেন্ড ধরে। সেই ছবিতে মাকরঁর মুখে দুষ্টুমি যেমন লুকোয়নি, তেমনি ট্রাম্পের মুখেও যেন এনজয় করার ঢঙেই ‘ছেড়ে দে ভাই আর পারি না’ গোছের এক্সপ্রেশন। হাত ছাড়াছাড়ির পর দেখা গেল, ট্রাম্পের হাতে রয়ে গিয়েছে মাকরঁর বুড়ো আঙুলের স্পষ্ট ছাপ। ট্রাম্পের হাতে মাকরঁর আঙুলের ছাপওয়ালা এই ছবি রীতিমতো ভাইরালও হয়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

করমর্দনের পর মাকরঁর আঙুলের ছাপ ট্রাম্পের হাতে। ছবি: এএফপি

আরও খবর: চাল নেবে চিন, দেবে জল-তথ্য, মোদী-শি বন্ধুত্বের নয়া বার্তা

জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলার লক্ষ্যে প্যারিস চুক্তি থেকে সরে এসেছিলেন ট্রাম্প। সেই আচরণের সমালোচনা করেছিলেন মাকরঁ। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে ফরাসি ফার্স্ট লেডি ব্রিজিতের সঙ্গে করমর্দনের সময় বেশ কিছুক্ষণ তাঁর হাত ধরে থাকায় ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল ট্রাম্পকে। কেউ কেউ বলছেন, সব কিছু ভেবেচিন্তেই হয়তো মাকরঁর এই করমর্দন।

আরও খবর: শব্দের অস্ত্রে কূটনীতিক তাড়াতে চাইছে চিন? উদ্বেগ আমেরিকার​

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাই প্রকাশ পেয়েছ এই করমর্দনে। কারণ শুক্রবারই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘মাকরঁ আর আমার মধ্যে অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক।’

ইতিমধ্যেই অ্যালুমিনিয়াম ও ইস্পাতের উপর শুল্ক চাপিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের কারণ হিসাবে ‘জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই’-কে হাস্যকর বলেও মন্তব্য করেছেন। অপরদিকে ট্রুডোকে ‘অসৎ’ বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প।

আরও খবর: গলায় গলায় পুতিন-শি​

জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে বোঝাপড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিশ্বের ৬০ শতাংশ অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে জি-৭ দেশগুলি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান জি-৭ দেশের অন্তর্ভুক্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE