সৌহার্দ্য: ব্রিকস সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। জোহানেসবার্গে। এএফপি
গত চার বছরে মোদীর বিদেশনীতি নিয়ে সংসদের বাইরে ও ভিতরে প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। উনিশের নির্বাচনের আগে ভাবমূর্তি ধোপদুরস্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে মোদী সরকার। অন্যতম গলার কাঁটা চিনকে প্রশমিত করে, সম্পর্কে অগ্রগতি দেখানোটা এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক শিবির।
কাল রাতে জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ব বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত তিন মাসে এই নিয়ে এটি দু’জনের তৃতীয় বৈঠক। বছরের শেষে আবার এই দুই নেতা মুখোমুখি বসবেন আর্জেন্টিনায় জি-২০ সম্মেলনের সময়ে। এখানেই শেষ নয়। কালকের বৈঠকে শি মোদীকে জানান, উহানের ঘরোয়া আলোচনার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে দিল্লির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আগামী বছর গোড়ায় ভারতে আসবেন তিনি।
শুধু শীর্ষতম স্তরেই নয়, আগামী কয়েক মাসে দু’দেশের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের ঠাসা আদানপ্রদানের কথা কালকের বৈঠকের পরে ঘোষণা করেছেন বিদেশসচিব বিজয় গোখলে। শুধু আদানপ্রদানই নয় চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে মরিয়া ভারত আগামী কয়েক মাসে একাধিক বাণিজ্য প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে বেজিংয়ে। বিদেশসচিব জানান, মোদী-শি বৈঠকে চিনের বাজারে ভারতীয় রফতানি (বিশেষ করে কৃষিপণ্য এবং ওষুধ ক্ষেত্রে) বাড়ানোর উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। গোখলের কথায়, ‘‘সিদ্ধান্ত হয়েছে অগস্টের ১ এবং ২ তারিখ ভারতীয় বাণিজ্য প্রতিনিধি দল চিনে যাবেন। সোয়া, চিনি, চাল (বাসমতি নয়)-এর মতো পণ্য চিনে যাতে রফতানি করা যায় সেটা নিশ্চিত করাই সফরের উদ্দেশ্য। সে দেশে থেকে ইউরিয়া আমদানির সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হবে।’’ অগস্টের ২১ তারিখ ভারতীয় ওষুধ শিল্পের প্রতিনিধিরা সাংহাই সফরে যাবেন।
প্রতিরক্ষা, এবং সীমান্ত সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের (দু’দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ে) বৈঠকও শুরু হবে শীঘ্রই। আগামি মাসে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসছেন ভারতে। অক্টোবরে ভারতে আসছেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠক করতে। ভারত এবং চিনবাসীর মধ্যে উচ্চপর্যায়ের সংযোগ বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হবে বিদেশমন্ত্রী স্তরের বৈঠকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy